দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ মুকুলকে

গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মুকুলের বাড়িতে আসেন কলকাতা পুলিশের তিন অফিসার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রতারণা মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দিল্লির বাড়িতে এল কলকাতা পুলিশ। অবশ্য দিল্লি হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় আগামী দশ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। ওই সময়ের মধ্যেই হাইকোর্টের রায় দেখিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁর নামে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল, তা খারিজ করার পরিকল্পনা করেছেন মুকুল।

Advertisement

গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মুকুলের বাড়িতে আসেন কলকাতা পুলিশের তিন অফিসার। এক জন সহকারী কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন এক জন এসআই এবং এক এএসআই। মুকুলবাবু বলেন, ‘‘প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন কলকাতা পুলিশের অফিসারেরা। আমি কোথায় থাকি, আমার অন্য কোনও বাড়ি রয়েছে কি না— এই ধাঁচের মামুলি প্রশ্ন করেন।’’ তবে মুকুল-ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, প্রতারণা কাণ্ডের মূল অভিযুক্তের সঙ্গে মুকুলবাবুর পরিচয় রয়েছে কি না, তাঁর সঙ্গে মুকুলবাবুর কোথায় আলাপ, তিনি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কি না— এ সব জানতে চান তদন্তকারীরা। যদিও মুকুলের দাবি, ‘‘মূল প্রতারণার অভিযোগে আমার নাম নেই। আমায় সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছিল।’’

কলকাতায় টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রতারণার মামলায় তিন বার ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও উপস্থিত না-হওয়ায় মুকুলের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। যাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত জানায়, আগামী দশ দিন মুকুলকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তদন্তের স্বার্থে মুকুলের বাড়িতে এসে কলকাতা পুলিশের অফিসারেরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। সূত্রের মতে, দশ দিন পরেই রক্ষকবচ সরে গেলেই গ্রেফতারির আশঙ্কা থাকছে মুকুলের। তাই দিল্লি হাইকোর্টের রায় দেখিয়ে আগামী সপ্তাহেই ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশকে খারিজ করতে চান তাঁর আইনজীবীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement