ডোকলাম নিয়ে রিপোর্ট শিকেয়

বিজেপি সাংসদরা গরহাজির রইলেন। ফলে ডোকলাম নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রিপোর্ট গৃহীতই হল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৬
Share:

বিজেপি সাংসদরা গরহাজির রইলেন। ফলে ডোকলাম নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রিপোর্ট গৃহীতই হল না।

Advertisement

ডোকলাম বিবাদের পরে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করেছিল বিদেশ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটি। যার চেয়ারম্যান কংগ্রেসের শশী তারুর। রাহুল গাঁধীও এই কমিটির সদস্য। সূত্রের দাবি, রিপোর্টে ডোকলাম নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করা না-হলেও বিজেপির আশঙ্কা ছিল, রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এলে কূটনৈতিক দুনিয়ায় অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে নরেন্দ্র মোদীকে। কারণ বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা এই কমিটিকে যা বলেছিলেন, তা পুরোপুরি তুলে ধরা হয়েছিল রিপোর্টে। কমিটির সামনে দুই মন্ত্রক পরস্পর-বিরোধী অবস্থান নেয় বলে একটি সূত্রের দাবি। বিদেশসচিব বিজয় গোখলে, তাঁর পূর্বসূরি এস জয়শঙ্করকেও প্রশ্ন করেছিল কমিটি।

গত জুনে সিকিম-ভুটান-তিব্বত সীমান্ত এলাকার ডোকলামে চিনা সেনার রাস্তা তৈরিতে বাধা দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পরে ৭৩ দিন দু’দেশের সেনা পরস্পরের চোখে চোখ রেখে ডোকলামে মোতায়েন ছিল। সীমান্তের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে সিকিম ও অরুণাচলে গিয়েছিলেন রাহুল-সহ কমিটির সাংসদেরা। সূত্রের দাবি, বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাদের কাছে রাহুল জানতে চেয়েছিলেন, চিন কেন ভারতের সঙ্গে সংঘাতে গিয়েছিল? ডোকলামের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংসদেরা।

Advertisement

গত মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকেই রিপোর্ট চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপি সাংসদেরা খসড়া রিপোর্ট পড়ে দেখার সময় পাননি বলে আপত্তি জানান। আজ সকালের বৈঠকে বিজেপির সিংহভাগ সাংসদ গরহাজির থাকায় দেখা যায়, রিপোর্ট গৃহীত হওয়ার জন্য যত জনকে দরকার, তত জন নেই।

বিদেশ মন্ত্রকের অবস্থান ছিল, ভবিষ্যতে চিনের সঙ্গে আলোচনা করে এই ধরনের সামরিক বিবাদ মেটাতে চায় ভারত। কিন্তু উহানে নরেন্দ্র মোদী-শি চিনফিংয়ের বৈঠকের পরে রাহুল প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী কেন পূর্বনির্ধারিত আলোচ্যসূচি ছাড়া বৈঠকে বসেছিলেন? কেন ডোকলাম নিয়ে সেখানে উদ্বেগ জানানো হল না?

এ দিন রিপোর্ট গৃহীত না-হওয়ায় কবে রিপোর্ট চূড়ান্ত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ অগস্ট মাসে কমিটি নতুন করে গঠন হবে। ফলে রিপোর্ট চূড়ান্ত হতে আরও দেরি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন