লালুজি শেষ! বলতে নারাজ সতর্ক সুশীল মোদী

এনডিএ শিবির বলতে শুরু করেছিল, লালু শেষ। সেই সময়ে এক ঘরোয়া আলোচনায় বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেছিলেন, ‘‘আরজেডি যদি একটিও আসন না পায়, তবু বলব না লালুজি শেষ! সত্তর দশক থেকে ওঁকে দেখছি।

Advertisement

অত্রি মিত্র

পটনা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৫
Share:

সাংবাদিকদের মুখোমুখি সুশীল। ছবি: পিটিআই

আরজেডি ২০০৯-এর লোকসভা ভোটে পেয়েছিল ৪টি আসন। ২০১০-এর বিধানসভা ভোটে মাত্র ২২টি। এনডিএ শিবির বলতে শুরু করেছিল, লালু শেষ। সেই সময়ে এক ঘরোয়া আলোচনায় বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেছিলেন, ‘‘আরজেডি যদি একটিও আসন না পায়, তবু বলব না লালুজি শেষ! সত্তর দশক থেকে ওঁকে দেখছি। রাজনীতিতে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় সেটা উনি জানেন।’’ বিধানসভা থেকে বেরনোর সময়ে আজ সে কথা মনে করিয়ে দিতেই দাঁড়িয়ে গেলেন সুশীল মোদী। স্মিত হেসে বললেন, ‘‘আমি কিন্তু বক্তব্য পাল্টাচ্ছি না।’’

Advertisement

তবে এ বারও কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন লালু প্রসাদ? তা নিয়ে চিন্তিত তাঁর পুত্র তেজস্বী, প্রবীণ নেতা আব্দুল বারি সিদ্দিকি থেকে শুরু করে তাবড় আরজেডি নেতা-সমর্থক। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে একের পর এক সিবিআই এবং ইডি-র মামলার ফাঁস তো আছেই। তার উপরে আচমকা রাজপাট হারিয়ে এখন দলটাকে কী ভাবে জোটবদ্ধ করে রাখবেন, তা নিয়েও কপালে ভাঁজ আরজেডি নেতাদের। আজই বিধানসভায় নীতীশ কুমারকে দেখে এগিয়ে গিয়ে প্রণাম করেন লালু প্রসাদের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত শক্তি যাদব। সে খবর পৌঁছে যায় ১০ নম্বর সার্কুলার রোডে। কিছু দিন ধরেই বেসুরো গাইছিলেন শক্তি। এমন শক্তিদের খুঁজে বার করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন আরজেডি নেতারা।

আরও পড়ুন:আস্থা জয় নীতীশের, উজ্জ্বল তেজস্বীও

Advertisement

লালু অবশ্য এ সব নিয়ে চিন্তিত নন। পোড় খাওয়া লালু জানেন, রাজ্যে এখনও তিনি যাদব ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় নেতা। আর জানেন, রাজনীতির ময়দানে কী ভাবে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখতে হয়। সে কারণেই এই খারাপ সময়ে চুপচাপ থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রতি পদক্ষেপে কংগ্রেসকেও কাছ ছাড়া করছেন না যাদব-কুলপতি। গত রাতে পটনা বিমানবন্দর থেকে কংগ্রেস নেতা সি পি জোশী সোজা চলে আসেন লালুর বাড়িতে। গভীর রাত পর্যন্ত আজকের আস্থাভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।

সন্ধেয় ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়িতে বসে ছিলেন লালু। পাশে রাবড়ীদেবী। পাট করা ধুতি লুঙ্গির মতো করে পরা। গায়ে ফতুয়া। পা তুলে দিয়েছেন সামনের টুলে। নেতা-সমর্থকরা ভিড় করে আছে। আছেন কয়েক জন সাংবাদিকও। এর মধ্যেই এক সাংবাদিক কী একটা প্রশ্ন করতেই লালু এগিয়ে দিলেন তেজস্বীকে। বললেন, ‘‘এখন থেকে যা বলার ওই বলবে। ওহি তো আজকা হিরো।’’ বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে বিহারের রাজনীতিতে ছেলেকে বিজেপি-বিরোধী জোটের প্রশ্নাতীত নেতা হিসেবে তৈরি করতে চান লালু।

আর ঠিক সেই কারণেই আজ সকালে ঘন-ঘন খবর নিয়েছেন, বিধানসভায় তেজস্বী কেমন বক্তৃতা করছেন। দিনের শেষে উত্তরাধিকারীর ‘পারফরম্যান্স’-এ লালু খুশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন