লালু-নীতীশের দেখা হলো, বরফ গলল না

গত কাল লালুপ্রসাদ দিল্লিতে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থীকে সমর্থনের বিষয়ে নীতীশকে বোঝাবেন। সে কারণে সকাল থেকেই পটনার রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় ছিল ‘লালুপ্রসাদের ইফতার’। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দ্বৈরথের যে লক্ষ্মণ-রেখা টানা হয়ে গিয়েছে তা দুপুরেই লালুপ্রসাদের কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭ ০৩:৪২
Share:

সম্প্রতি ইফতার পার্টিতে লালু প্রসাদ এবং নীতীশ কুমার।— ফাইল চিত্র।

পাশাপাশি বসে ইফতার খেলেও দূরত্ব কমল না লালুপ্রসাদ-নীতীশ কুমারের। সৌজন্য বিনিময় আর প্রয়োজনীয় দু’-একটা কথা, চিত্র-সাংবাদিকদের অনুরোধে ‘গলাগলি’ ছবি ছাড়া কার্যত বিশেষ বাক্যালাপই হল না দুই নেতার। আজ পটনার ১০ সার্কুলার রোডে রাবড়ীদেবীর সরকারি বাসভবনে লালুপ্রসাদের দেওয়া ইফতারে এমন ছবিই চোখে পড়ল। এমনিতে সদাহাস্যময় লালুপ্রসাদও আজ যেন কিছুটা গম্ভীর ছিলেন। সম্পর্কে দৃশ্যত কোনও উষ্ণতা ছিল না।

Advertisement

গত কাল লালুপ্রসাদ দিল্লিতে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থীকে সমর্থনের বিষয়ে নীতীশকে বোঝাবেন। সে কারণে সকাল থেকেই পটনার রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় ছিল ‘লালুপ্রসাদের ইফতার’। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দ্বৈরথের যে লক্ষ্মণ-রেখা টানা হয়ে গিয়েছে তা দুপুরেই লালুপ্রসাদের কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো নীতীশের রাস্তাতেই চলছিলাম। তিনিই বলেছিলেন, সঙ্ঘমুক্ত ভারত তৈরি করতে হবে।’’ লালুর কথায়, ‘‘অচানক কেয়া খিচড়ি পকি পতা নেহি!’’

নীতীশ কুমার অবশ্য এ দিন ইফতার পার্টি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এটা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এ নিয়ে রাজনৈতিক যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি না করাই ভাল।’’ সাংবাদিকরা নীতীশের কাছে জানতে চান, মীরা কুমার ‘বিহার কি বেটি’, তবু তাঁকে সমর্থন নয় কেন?

Advertisement

বিরক্ত নীতীশ বলেন, ‘‘বিহারের বেটিকে হারানোর জন্যই প্রার্থী করা হয়েছে। বিরোধীদের এই রকম যদি রণ-কৌশল হয় তবে ২০১৯-এও হারতে হবে।’’ এত ফারাক সত্ত্বেও রাজ্য-রাজনীতির বাধ্যবাধ্যকতায় লালু বা নীতীশ কেউই এখন পরস্পরকে ছাড়তে পারবেন না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement