Bihar Politics

পারিবারিক ভাঙনে কি এ বার রাজনীতির স্পর্শ? নীতীশের প্রশংসা লালুকে কিডনি দেওয়া সেই কন্যার

মাসখানেক আগে রাজনীতি এবং পরিবারের সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই বলে ঘোষণা করে বাড়ি ছাড়েন রোহিণী। শুধু তা-ই নয়, কেন তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, তা নিয়ে বার বার মুখ খুলেছেন তিনি। এ বার বিহার সরকারের প্রশংসা করলেন রোহিণী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৪৮
Share:

(বাঁ দিকে) লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর কন্যা রোহিণী আচার্য (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

মেয়েদের সমান অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য সরকারেরই এগিয়ে আসা উচিত! নিজের ‘অভিজ্ঞতা’ থেকে এমনই মনে করেন লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিণী আচার্য। বিহারের নীতীশ কুমারের সরকারের প্রশংসা করেও নারী ক্ষমতায়নে সরকারকে আরও সচেষ্ট হওয়ার কথা বলেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমের এক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, বাবা-মায়ের বাড়ি যাতে মেয়েদের জন্য নিরাপদ জায়গা হয়, তা দেখা উচিত সরকারের!

Advertisement

মাসখানেক আগে রাজনীতি এবং পরিবারের সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই বলে ঘোষণা করে বাড়ি ছাড়েন রোহিণী। শুধু তা-ই নয়, কেন তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, তা নিয়ে বার বার মুখ খুলেছেন তিনি। কাঠগড়ায় তুলেছেন লালুপুত্র তেজস্বীকে। রোহিণী দাবি করেন, বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছে। মারার জন্য তোলা হয়েছে জুতোও। পাশাপাশি এ-ও অভিযোগ করেন, বাবাকে (লালুকে) কিডনি দেওয়া নিয়েও তাঁকে খোঁটা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁর কিডনি ‘নোংরা’। সেই রোহিণী এ বার নীতীশের সরকারের উদ্দেশে এক দীর্ঘ পোস্ট করলেন।

রোহিণী মনে করেন, বিহারে এখনও গভীর ভাবে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বীজ পোঁতা রয়েছে। সেই কারণে সামাজিক এবং রাজনৈতিক— উভয় ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের প্রয়োজন। প্রতিটি মেয়ের অধিকার রয়েছে এই নিশ্চয়তা নিয়ে বেড়ে ওঠা যে, তাঁর বাবা-মায়ের বাড়ি তাঁর কাছে নিরাপদ! প্রয়োজনে বিনা দ্বিধায় সেখানে ফিরে যেতে পারেন। লালুকন্যার কথায়, মহিলাদের জন্য বিহার সরকারের প্রকল্পগুলি প্রশংসাযোগ্য। তবে এটা কখনওই পর্যাপ্ত নয়। মেয়েদের সমান অধিকার রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ করা সরকার এবং সমাজের প্রাথমিক দায়িত্ব হওয়া উচিত। লালুকন্যা এ-ও মনে করেন, বাবা-মায়ের বাড়ি যেন কোনও একটি মেয়ের কাছে নিরাপদ জায়গা হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও সরকারের। ভয়, অপরাধবোধ, লজ্জা ছাড়াই যাতে কোনও মেয়ে তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

Advertisement

বছর দুয়েক আগে নিজের কিডনি অসুস্থ লালুকে দান করে ‘পুনর্জীবন’ দিয়েছিলেন কন্যা রোহিণী। সেই রোহিণীই লালুর বাড়ি ছাড়ায় শোরগোল পড়ে যায় বিহারের রাজনীতিতে। প্রকাশ্যে চলে আসে যাদব পরিবারের অন্তর্কলহ! রোহিণী দাবি করেছেন, বাবার বাড়িতে থাকাকালীন বার বার অপমানিত হতে হয়েছে। কুকথা শুনতে হয়েছে তাঁকে। লালুর পটনার বাড়ি তাঁর কাছে ‘নিরাপদ নয়’, এমনও দাবি করেন রোহিণী। এ বার নীতীশের কাছে আবেদন করলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement