Landslide in Uttarakhand

উত্তরাখণ্ডের ধারচুলায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রবেশের সুড়ঙ্গে ধস, আট কর্মী উদ্ধার হলেও আটকে ১১ জন

ধারচুলা জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জিতেন্দ্র বর্মা জানিয়েছেন, ভগ্নস্তূপ সরানোর জন্য জেসিবি যন্ত্র আনা হয়েছে। কিন্তু ভারী বৃষ্টির জন্য ক্রমাগত ধস নামার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৫ ২০:৪১
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

উত্তরখণ্ডের পিথোরাগড়ে ধস নেমে বিপত্তি। ধসের কারণে ধৌলিগঙ্গা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রবেশ করার দু’টি সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তার জেরে মাটির নীচে থাকা ওই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আটকে পড়েন জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)-র ১৯ জন কর্মী। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে আট জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ জন এখনও সুড়ঙ্গেই রয়েছেন। তবে তাঁরা সুরক্ষিত রয়েছেন।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি চলছে উত্তরাখণ্ডে। তার জেরে ধস নেমেছে বিভিন্ন জেলায়। এই আবহে উত্তরাখণ্ডের ধারচুলা জেলায় ধৌলিগঙ্গা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রবেশের যে সুড়ঙ্গ ছিল, ধস নেমে তার মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাধারণ এবং আপৎকালীন— দু’টি সুড়ঙ্গের মুখই ভারী পাথর, মাটি, কাদা পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

ধারচুলা জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জিতেন্দ্র বর্মা জানিয়েছেন, ভগ্নস্তূপ সরানোর জন্য জেসিবি যন্ত্র আনা হয়েছে। কিন্তু ভারী বৃষ্টির জন্য ক্রমাগত ধস নামার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স), বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও), এনএইচপিসি উদ্ধারকাজে নেমেছে। তাদের চেষ্টাতেই আট জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ কথা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন জেলাশাসক বিনোদ গোস্বামী।

Advertisement

জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন যে, ১১ জন এখনও সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। তাঁরা নিরাপদেই রয়েছেন। প্রশাসন সব সময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সুড়ঙ্গের মধ্যে রান্নাঘর রয়েছে। খাবারও মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জিতেন্দ্র জানিয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রশাসনের নজরদারিতে উদ্ধারকাজ চলছে।

ভারী বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জেলা। চমোলী জেলার বদ্রীনাথ হাইওয়ের পাঁচটি জায়গায় ধস নামায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, জোশীমঠ এবং আনিমঠের কাছে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, পাগল নালা, নন্দপ্রয়াগ, ভনেরপাণী, কামেড়া এবং চাটোয়া পিপল— বদ্রীনাথ হাইওয়ের উপর এই পাঁচ জায়গাতেও ধস নেমেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement