লোকসভার শেষ দিনে ভাষণ দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদীকে আলিঙ্গন করে গোটা লোকসভাকে চমকে দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। বাদল অধিবেশনের সেই দিনটায় তেমন কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আজ ১৬তম লোকসভার শেষ দিনে রাহুলের নাম না-করে বক্রোক্তিতে পিছপা হলেন না তিনি।
মোদী বললেন, ‘‘প্রথম বার লোকসভায় এসে অনেক কিছু শিখলাম। বুঝলাম, ‘গলে মিলনা’ (আলিঙ্গন) আর ‘গলে পড়না’ (গলায় ঝুলে পড়া)-র পার্থক্য।’’ লোকসভায় সে দিন রাহুলের চোখ টেপা নিয়েও বলতে ছাড়েননি মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘চোখ দিয়েও যে ‘গুস্তাখিয়া’ (ধৃষ্টতা) করা যায়, তা-ও জানলাম সংসদেই।’’ গাঁধী পরিবারকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার আসনে বসে দেখেছি, এখানে মাত্র তিন জন প্রধানমন্ত্রীর নাম লেখা। অথচ আমার আগে ১৩ জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বাকিদের নাম কেন নেই, জানার ইচ্ছে রইল।’’
আজ সকাল থেকেই লোকসভার শাসক-বিরোধী সাংসদদের পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়। নিজস্বী ওঠে প্রচুর। মহিলা সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজস্বী তোলেন সনিয়া গাঁধীও। স্পিকার বলেন, ‘‘আশা করব, ৫২২ জন সাংসদের অনেকেই ফিরে আসবেন।’’
দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কতটা চেনেন? খেলুন কুইজ
আরও পড়ুন: বেজায় অসন্তুষ্ট মমতা, যন্তরমন্তরের মঞ্চ থেকে কঠিন বার্তা কংগ্রেসকে
সংসদ থেকে বিদায় নিলেন মুলায়ম সিংহ, এইচ ডি দেবগৌড়া। আর তাঁরা ভোটে লড়বেন না। দেবগৌড়া বলেন, ‘‘২০১৪-র আগে বলেছিলাম, বিজেপি ২৭৬-এর বেশি আসন পেলে ইস্তফা দেব। ২৮২ হওয়ার পরে ইস্তফা দিতেও গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিষয়টাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।’’ ‘‘সনিয়া গাঁধী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি’’ বলে দেবগৌড়া মন্তব্য করতেই সনিয়া তাঁকে শুধরে দিয়ে বলেন, ‘‘আমি হতেও চাইনি।’’
দলের একাংশ না-চাইলেও লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী-রা ফের ভোটে লড়তে ইচ্ছুক বলে খবর। বিজেপির মার্গদর্শক মণ্ডলীর দুই সদস্যের সাংসদ জীবন আজই শেষ হয়ে গেল কি না, সেটাও এখন দেখার।