মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিতে কাছাড়ে গ্রন্থাগার

শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা পীর হজরত মৌলানা শেখ আহমদ আলি বাশকান্দির স্মৃতিতে কাছাড় জেলায় গবেষণাকেন্দ্র ও গ্রন্থাগার তৈরির বিষয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিল রাজ্য সরকার। ভূপেন হাজরিকার সমাধিক্ষেত্র নির্মাণের কাজ ধীর গতিতে হওয়ার সমালোচনা করে আজ বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক হাফিজ রফিকুল ইসলাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০৩:৫৮
Share:

শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা পীর হজরত মৌলানা শেখ আহমদ আলি বাশকান্দির স্মৃতিতে কাছাড় জেলায় গবেষণাকেন্দ্র ও গ্রন্থাগার তৈরির বিষয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিল রাজ্য সরকার। ভূপেন হাজরিকার সমাধিক্ষেত্র নির্মাণের কাজ ধীর গতিতে হওয়ার সমালোচনা করে আজ বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক হাফিজ রফিকুল ইসলাম। সংস্কৃতি মন্ত্রী বিস্মিতা গগৈ জানান, ২০১২ সালে সমাধিক্ষেত্র নির্মাণের কাজ শুরু হলেও, বিভিন্ন কারণে তাতে দেরি হয়। তবে এখন জোরকদমে কাজ চলছে। ৫০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। এ বছর নভেম্বরের মধ্যেই তা শেষ হবে। কাছাড় জেলায় বাশকান্দির নামে গবেষণাকেন্দ্র ও গ্রন্থাগার গড়ার দাবিও জানান ইসলাম। বিস্মিতাদেবী এ নিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দেন। এআইইউডিএফ বিধায়ক গুল আখতারা বেগম প্রস্তাব দেন, গোয়ালপারিয়া লোকগীতি গায়িকা প্রতিমা পাণ্ডে বরুয়া ও কামরূপী লোকগীতি গায়ক রামেশ্বর পাঠকের নামেও স্মৃতিক্ষেত্র তৈরি হোক। সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন সংস্কৃতি মন্ত্রী। পাশাপাশি, শোণিতপুর জেলার অগপ বিধায়ক প্রবীণ হাজরিকা ও পদ্ম হাজরিকা প্রস্তাব দেন, ভূপেন হাজরিকার সঙ্গীত জীবনে তেজপুরের অবদান অনেক। তাই তেজপুরবাসীর দাবি মেনে সেখানকার বিমানবন্দরের নাম ভূপেনবাবুর নামে রাখা হোক। কাছাড়ের বিধায়ক এনামুল হক বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর টিকেন্দ্রজিতের নামে কাছাড়ের সোনাইয়ে প্রেক্ষাগৃহ তৈরির দাবি দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে সরকার এখনও কাজ শুরু করেনি।” বিস্মিতাদেবী জানান, কাছাড়ের জেলাশাসকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা পড়েছে। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Advertisement

সঙ্গীত নাটক আকাদেমির উত্তর-পূর্ব শাখা ত্রিপুরায় স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ চলছিল। সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ও মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সঙ্গীত নাটক আকাদেমির সচিবের সঙ্গে বিস্মিতাদেবী বৈঠকও করেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্য থেকে আকাডেমির শাখা সরছে না। সরকার গুয়াহাটির কলাক্ষেত্রে আকাদেমির জন্য অস্থায়ী পরিকাঠামো করছে। আকাডেমির স্থায়ী ভবনের জন্য সরকার জমির ব্যবস্থা করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন