ফেব্রুয়ারিতে পদ ছাড়তে হয়েছিল। ছ’মাস কাটার আগেই জেলিয়াং ফের বহাল মুখ্যমন্ত্রিত্বে। —ফাইল চিত্র।
সুরহোঝেলি লিঝিৎসুর সরকার পড়ে গেল নাগাল্যান্ডে। রাজ্যপাল পি বি আচার্য আজ, বুধবার নাগাল্যান্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সুরহোঝেলি এবং তাঁর সমর্থক বিধায়করা বিধানসভায় গেলেনই না। ফলে মুলতুবি হয়ে গেল অধিবেশন, পতন ঘটল মন্ত্রিসভার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াং-কে নাগাল্যান্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। এ দিন বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন সুরহোঝেলি লিঝিৎসু। পূর্ববর্তী মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াং প্রবল উপজাতি বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার পরেই লিঝিৎসু মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই শাসক দল নাগাল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) অধিকাংশ বিধায়ক ফের শিবির বদল করেন এবং জেলিয়াংকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফেরানোর দাবি তুলতে থাকেন।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন টি আর জেলিয়াং। —নিজস্ব চিত্র।
৬০ সদস্যের নাগাল্যান্ড বিধানসভায় ৪১ জন সদস্যই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বলে টি আর জেলিয়াং দাবি করছিলেন। রাজ্যপালকেও তিনি সে কথা জানিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী সুরহোঝেলি লিঝিৎসুকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল পি বি আচার্য। কিন্তু রাজ্যপালের নির্দেশকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন লিঝিৎসুরা। গুয়াহাটি হাইকোর্টের কোহিমা বেঞ্চ গতকাল জানিয়ে দেয়, এ বিষয়ে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এই রায় আসার পরই রাজ্যপাল অবিলম্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলেন লিঝিৎসুকে। আজ সকাল সাড়ে ন’টায় অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। টি আর জেলিংয়া এবং তাঁর সমর্থকরা বিধানসভায় পৌঁছে যান। কিন্তু লিঝিৎসু শিবির বিধানসভায় যায়নি। ফলে আস্থা ভোট হয়নি।
আরও পড়ুন: চিন নিয়ে নাম না করে মমতা-মেহবুবাকে খোঁচা জয়শঙ্করের
স্পিকারের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজ্যপাল লিঝিৎসু মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেছেন। টি আর জেলিয়াংকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেছেন তিনি। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।