আর্থিক তছরুপে দুই জঙ্গির যাবজ্জীবন

এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ আমলা কান্নায় ভেঙে পড়ে সাজা কমানোর আবেদন করছিলেন। স্বশাসিত পরিষদের প্রাক্তন প্রধান তথা এক সময়ের নৃশংস জঙ্গি নেতা কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি বেশি সাজা পেলে ডিমা হাসাও জেলার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ০৪:০৯
Share:

এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ আমলা কান্নায় ভেঙে পড়ে সাজা কমানোর আবেদন করছিলেন। স্বশাসিত পরিষদের প্রাক্তন প্রধান তথা এক সময়ের নৃশংস জঙ্গি নেতা কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি বেশি সাজা পেলে ডিমা হাসাও জেলার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাস্তির হাত থেকে বাঁচলেন না কেউই।

Advertisement

উত্তর কাছাড় স্বশাসিত পরিষদের প্রায় হাজার কোটি টাকা জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়ার দায়ে আজ এনআইএ-র বিশেষ আদালত সাবেক ডিএইচডি (জুয়েল) জঙ্গি দলের দুই মাথা, তথা বর্তমানে বিজেপির দুই নেতা নিরঞ্জন হোজাই ও জুয়েল গার্লোসাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল। একই ভাবে পরিষদের তৎকালীন মুখ্য নির্বাহী সদস্য মোহিত হোজাইকেও যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছে আদালত। অতিরিক্ত জেলা সমাজ কল্যাণ সঞ্চালক আর এইচ খানকে ১২ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত। এনআইএ চার্জশিটে নাম থাকা বাকি ১২ জনকেও ৮ থেকে ১০ বছরের কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে।

২০০৯ সালে গুয়াহাটি পুলিশ ১ কোটি টাকা ও দু’টি পিস্তল-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে, উত্তর কাছাড় জেলার উন্নয়নের জন্য আসা টাকা ডিএইডচি (জুয়েল) জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে তুলে দিচ্ছে আমলা ও স্বশাসিত পরিষদের কর্তাদের একাংশ। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এনআইএ-কে। উত্তর-পূর্বে এটাই ছিল এনআইএ-র প্রথম মামলা। তদন্তে উদ্ধার হয় ১৩টি এম-১৬ রাইফেল, ২৯টি একে সিরিজের রাইফেল, তিনটি এসএলআর, কয়েকটি পিস্তল, ওয়াকি টকি, প্রচুর গুলি ও নগদ কোটি টাকারও বেশি। উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ সরকারি অর্থে ওই অস্ত্র
কেনা হয়েছিল।

Advertisement

২০১১ সালে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা জুয়েল গার্লোসা, নিরঞ্জন হোজাইরা শান্তি আলোচনায় আসে। পরে যোগ দেয় বিজেপিতে। নিরঞ্জন স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য নির্বাহী সদস্যও হয়। এখন তিনি পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য ও জুয়েল সাধারণ সদস্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement