‘প্রশ্ন শুনুন, ভালই লাগবে’, মোদীকে খোঁচা রাহুলের

বিকেল পাঁচটায় ভোট প্রচার শেষ হওয়ার কথা। তার ঠিক পনেরো মিনিট আগে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল আর চন্দ্রবাবু। সঙ্গে ছিলেন জোটের অন্য শরিকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৬
Share:

‘চাওয়ালা’ নরেন্দ্র মোদী নিজের ‘শক্তি’ জাহির করে গাঁধী পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন সকাল থেকে। পরোয়া না করে রাহুল গাঁধী উল্টে তোপ দাগলেন ভোটমুখী রাজ্য তেলঙ্গানা থেকে। সাংবাদিক বৈঠক করলেন চন্দ্রবাবু নায়ডুকে পাশে বসিয়ে। আর দিনের শেষে টুইট করে বললেন, ‘‘এখন প্রচার শেষ। আশা করি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে পার্ট-টাইম কাজ করেন তা করেও একটু সময় বাঁচাতে পারছেন। আপনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ১৬৫৪ দিন হয়ে গেলেও এক বারও সাংবাদিক বৈঠক করেননি। মাঝে মাঝে এমন সাংবাদিক বৈঠক করুন। প্রশ্ন শুনতে ভালই লাগবে।’’

Advertisement

বিকেল পাঁচটায় ভোট প্রচার শেষ হওয়ার কথা। তার ঠিক পনেরো মিনিট আগে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল আর চন্দ্রবাবু। সঙ্গে ছিলেন জোটের অন্য শরিকেরাও। রাহুল সাফ বুঝিয়ে দিলেন, তেলঙ্গানায় জোট গড়ে চন্দ্রশেখর রাওকে উৎখাত করবেন মানুষ। একই ভাবে লোকসভা ভোটে লড়াই হবে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। অনিল অম্বানীর মতো শিল্পপতি বন্ধুদের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা মাফ করে যে ভাবে বেকারি ও কৃষকদের দুরবস্থা তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভায় তার খেসারত দিতে হবে।

রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, এক সময়ে বিপক্ষে থাকা চন্দ্রবাবুর সঙ্গে এখন জোট করলেও দুই দলের কর্মীদের একজোট করবেন কী করে? রাহুলের জবাব, ‘‘তাঁরা নিজেরাই জোট বেঁধেছেন। আমার কিছু করার দরকারই নেই। এই বার্তাটিই তেলঙ্গানার বাইরেও প্রসারিত হবে।’’ অমিতের বক্তব্য, ‘‘চন্দ্রবাবু নায়ডু দিল্লিতে আমাকে বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের কবল থেকে সকলে নিষ্কৃতি চাইছেন। জিএসটি, নোটবন্দি করে প্রধানমন্ত্রী অপরাধ করেছেন। মানুষ নাজেহাল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: হেরাল্ডে জয় দেখছেন মোদী

তেলঙ্গনার সূর্যপেটে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীরা বৈঠকে বসছেন। তার প্রস্তুতি তেলঙ্গানা থেকেই শুরু করে দিলেন রাহুল। কংগ্রেসের নেতাদের দাবি, আজ সকালে নিজেকে ‘চাওয়ালা’ বলে অগুস্তা মামলায় প্রধানমন্ত্রী নানা ভাবে গাঁধী পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু রাহুল গাঁধী একেবারেই চিন্তিত নন। কংগ্রেস রাফাল আর প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে সরব হবে। কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, ‘‘আমি এক জন মাত্র গ্রাহককে খুঁজছি, যিনি নরেন্দ্র মোদীর হাত থেকে চা কিনে খেয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement