অহমদাবাদে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর হাসপাতালে আহতদের দেখতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ চলছে। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমের দাবি দু’টি ব্ল্যাকবক্সের মধ্যে একটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যদিও এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে এনআইএ।
শুক্রবার অহমেদাবাদ বিমানবন্দরে নেমেই দুর্ঘটনাস্থলে যান মোদী। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে ছিলেন। সেখান থেকে যান অহমদাবাদের কমান্ড হাসপাতালে। সেখানকার সু৭ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিমান দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জন। এই ২৫ জনের মধ্যে রয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রীও। শুক্রবার সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় আমরা সকলে বিপর্যস্ত। এই ভাবে হঠাৎ এত মানুষের প্রাণহানি হৃদয়বিদারক এবং ভাষায় প্রকাশের মতো নয়।”
এআই ১৭১ বিমানে থাকা যাত্রীদের পরিবার-পরিজনদের কাছে সব রকম সাহায্য এবং তথ্য পৌঁছোনোর জন্য অহমদাবাদ, মুম্বই, দিল্লি এবং ব্রিটেনের গ্যাটউইকে সহায়ক কেন্দ্র বা অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার তৈরি করল এয়ার ইন্ডিয়া। প্রসঙ্গত, এআই ১৭১ বিমানটির অতবরণ করার কথা ছিল ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরেই।
দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডুও। হাসপাতালে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিশ্বকুমার রমেশ। অহমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় তিনিই একমাত্র যাত্রী, যিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেন্সিক দলের সদস্যেরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যেখানে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সেখানে পৌঁছোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে তাঁকে অহমদাবাদ বিমানবন্দরে আনতে যান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাতিল এবং গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মৃত যাত্রীদের দেহ শনাক্তকরণে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হচ্ছে। মৃতদের ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে।
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন।
বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনার পর এখনও যাত্রীদের অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেকের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে নিখোঁজদের সন্ধানে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে গুজরাত পুলিশ। এনডিআরএফ-এর ডিজি হরিওম গান্ধী জানিয়েছেন, তাঁদের ছ’টি দল বৃহস্পতিবার থেকে কাজ করে চলেছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, ধ্বংসস্তূপ না-সরালে তা বলা মুশকিল।