শ্রদ্ধা: তিনসুকিয়ার লংটং সমাধিক্ষেত্রে চিনা প্রতিনিধিদের দল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
অসমে এলেন চিনা কূটনীতিকদের দল। আজ তিনসুকিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মৃত চিনা সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লৌ ঝাওহুই। তবে লংটং সমাধিক্ষেত্রে গিয়ে আট সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলটি স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
দলাই লামার অরুণাচল সফরকে ঘিরে চিনের কড়া প্রতিক্রিয়ায় উত্তর-পূর্বে সাধারণ ভাবে চিন সম্পর্কে একটি বিরুদ্ধ-মনোভাব তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই গত ৫ এপ্রিল চিনা রাষ্ট্রদূত ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানান, ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল চিনা প্রতিনিধিরা অসমে আসতে চান। সেই সফরের অনুমতি না দেওয়ার দাবি তোলে অসমের বেশ কয়েকটি সংগঠন। তারা দাবি করে, ব্রহ্মপুত্রের ড্রেজিং ও দু’পারে ১৩০০ কিলোমিটার এক্সপ্রেস হাইওয়ে গড়ার যে চুক্তি কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে তা চিনকে শঙ্কিত করেছে। তাই পরেশ বরুয়ার পরামর্শেই চিনা প্রতিনিধিরা সরেজমিনে অসমে এসে পরিস্থিতি দেখতে চাইছে। চিনাদের অসম সফর বাতিলের দাবি ওঠে।
তবে কেন্দ্র সেই অভিযোগে কর্ণপাত করেনি। তিনসুকিয়ার এসপি মুগ্ধজ্যোতি মহন্ত জানান, এ দিন ডিব্রুগড় বিমানবন্দর থেকে চিনা প্রতিনিধিদের সড়ক পথে তিনসুকিয়ায় আনা হয়। সেখান থেকে ১৯৪৩ সালে তৈরি লংটং সমাধিক্ষেত্রে যান তাঁরা। সমাধিক্ষেত্রে ফুল দিয়ে মৃত সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।
কিন্তু অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়নি। সমাধিক্ষেত্রের বাইরে ব্রহ্মপুত্রের উৎসে বাঁধ তৈরি করায় চিনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ‘গো-ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে। আগামী কাল তাঁরা দিল্লি ফিরবেন।