লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হিসাব বহির্ভূত ২৮১ কোটির টাকার হদিশ, মিলল ক্যাশবুক, রাজনৈতিক যোগের দাবি আয়কর দফতরের

এর মধ্যে আছে হাওয়ালার মাধ্যমে আসা ২০ কোটি মূল্যের কালো টাকাও, যা পাঠানো হয়েছিল নয়াদিল্লির তুঘলক রোডের এক রাজনৈতিক নেতার বাড়ি থেকে, বিবৃতি দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে আয়কর দফতর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ১২:৫৫
Share:

রবিবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের প্রাক্তন উপদেষ্টা রাজেন্দ্রকুমার মিগলানির বাড়িতে আয়করের তল্লাশি। ছবি: পিটিআই।

গত দু’দিন ধরে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হিসাব বহির্ভূত ২৮১ কোটি টাকার খোঁজ পেয়েছে আয়কর দফতর। এই টাকার একটি বড় অংশ নয়াদিল্লিতে একটি রাজনৈতিক দলের সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। এর মধ্যে আছে হাওয়ালার মাধ্যমে আসা ২০ কোটি মূল্যের কালো টাকাও, যা পাঠানো হয়েছিল নয়াদিল্লির তুঘলক রোডের এক রাজনৈতিক নেতার বাড়ি থেকে, বিবৃতি দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে আয়কর দফতর।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আয়কর দফতর যে সব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে, তার মধ্যে আছে বাঘের ছাল, ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ কালো টাকা, ২৫২ বোতল মদ এবং বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। একই সঙ্গে আয়কর দফতরের অফিসারদের হাতে এসেছে, টাকা সংগ্রহ করা এবং বিতরণের হিসেব লেখা ডায়েরি, কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল। এই নথি থেকেই কালো টাকার চক্রের বিষয়টি জানতে পেরেছে আয়কর, এমন দাবিই করা হয়েছে বিবৃতিতে।

আয়কর দফতরের দাবি, নয়াদিল্লিতে একটি অভিযানেও এই চক্রের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতার জড়িয়ে থাকার বিষয়টি সামনে এসেছে। এই অভিযানে প্রমাণ হিসেবে আয়কর দফতরের হাতে এসেছে একটি ‘ক্যাশবুক’, যেখানে ২৩০ কোটি টাকা লেনদেনের রেকর্ডের পাশাপাশি ভুয়ো বিলের মাধ্যমে ২৪২ কোটি টাকা সরানোর কথা লেখা আছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গত রবিবার সকালেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীণ কক্কর এবং প্রাক্তন উপদেষ্টা রাজেন্দ্রকুমার মিগলানির বাড়িতে তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের অফিসাররা। হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি টাকা লেনদেনের একটি চক্রের খোঁজেই এই হানা দেওয়া হয়েছিল। তার ঠিক আগের সপ্তাহেই কর্নাটকে কংগ্রেস-জনতা দল (সেকুলার) জোটের বেশ কয়েকজন নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর। বেছে বেছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের টার্গেট করে অভিযান চালাচ্ছে আয়কর, এই অভিযোগ করেছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আয়কর দফতরকে ব্যবহার করার অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি। শুধু তিনি নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলের আরও অনেক নেতানেত্রীই।

আরও পড়ুন: বিজেপির ইস্তাহার ‘এক বিচ্ছিন্ন মানুষের কণ্ঠস্বর’, মোদীকে কটাক্ষ রাহুলের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement