উজ্জ্বলার ‘মুখ’ এখন উনুন জ্বালান

প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা চালু হয়েছিল ২০১৬ সালে। দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারের এক জন মহিলা ওই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রকল্পের আওতায় বছরে ১২টি সিলিন্ডার পাওয়া যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ০২:২৯
Share:

উজ্জ্বলা প্রকল্পের পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গুড্ডি দেবী।

রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’ চালু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ভোট মরসুমে ওই প্রকল্পের কথা বড় মুখ করে প্রচারও করছেন প্রধানমন্ত্রী। উজ্জ্বলা প্রকল্পের অন্যতম মুখ উত্তরপ্রদেশের গুড্ডি দেবী। প্রকল্পের পোস্টারে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে প্রতীকী সিলিন্ডার নিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা প্রকাশ্যে এনেছে, সেই গুড্ডি দেবী আর গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন না। রান্না করতে হচ্ছে উনুনেই! কারণ, দারিদ্র।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা চালু হয়েছিল ২০১৬ সালে। দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারের এক জন মহিলা ওই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রকল্পের আওতায় বছরে ১২টি সিলিন্ডার পাওয়া যায়। নিখরচায় গ্যাসের সংযোগ এবং প্রথম সিলিন্ডারের দাম দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম সুবিধাপ্রাপকদের মধ্যে গুড্ডি দেবীও এক জন। ওই ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, গুড্ডি দেবী জানিয়েছেন, গত তিন বছরে তিনি মাত্র ১১টি সিলিন্ডার কিনেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৬ সালে যখন আমাদের গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হল, তখন একটা সিলিন্ডারের দাম ছিল ৫২০ টাকা। এখন তার দাম ৭৭০টাকা। সিলিন্ডার কেনার এত টাকা কোথায় পাব?’’ একটি গ্যাস বণ্টন সংস্থার মালিক অখিলেশ গুপ্তের কথায়, ‘‘আমরা দেখেছি, উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাপ্রাপকদের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ সিলিন্ডার কেনেন।’’

সম্প্রতি বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’য় সুবিধাপ্রাপকদের ৮৫ শতাংশ মহিলা কাঠ এবং ঘুঁটে দিয়ে উনুনে রান্না করেন।

Advertisement

দেশের প্রথম ‘স্মার্ট ভিলেজ’ হরিসালের বাস্তব ছবিটা কিছু দিন আগে প্রকাশ্যে এনেছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে। মনে করা হয়েছিল, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র সাফল্যের ফসল ওই গ্রাম। কিন্তু বাস্তব বলছে, হরিসালের হাল ফেরেনি। ওই প্রকল্পের পোস্টারে যে যুবকের ছবি রয়েছে, রাজের সভায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল। এমএনএস প্রধানের দাবিকে সমর্থন করে ওই যুবক জানান, তিনি এখনও বেকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন