ছবি: পিটিআই।
ক’দিন আগেই মেরঠের সভায় মন্তব্য করেছিলেন, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি আর বিএসপি আলিতে বিশ্বাস করে, আর তাঁদের বিশ্বাস বজরংবলীতে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সেই মন্তব্যের শাস্তি হিসেবে নির্বাচন কমিশন সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিল, ৭২ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না তিনি। সময় শুরু হয়েছিল আজ ভোর ছ’টা থেকেই। আর আজই লখনউয়ের হনুমান মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন যোগী। তিনি মন্দিরে পা দেওয়া মাত্র তাঁর সমর্থকেরা স্লোগান তোলে, ‘‘জয় বজরংবলীজি! জয় গোরখধাম!’’
যোগী অবশ্য মন্দিরে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। উপস্থিত ভক্তদের সঙ্গেও দেখা করেননি তিনি। মন্দিরে যে আধ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন, তার অধিকাংশটাই বিগ্রহের সামনে জোড়হাত করে বসেছিলেন। পাঠ করেছেন হনুমান চালিশা। আজই লখনউয়ে রোড শো ছিল রাজনাথ সিংহের। সেখানেও যাননি যোগী। নাগিনা ও ফতেপুর সিক্রিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্ধারিত জনসভাও বাতিল হয়েছে। তবে আগামিকালই অযোধ্যায় যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। সেখানে বিতর্কিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত অস্থায়ী রাম লালা মন্দিরে যাবেন তিনি। যাবেন হনুমানগড়ী মন্দিরেও।
শুধু যোগীই নন, নির্বাচন কমিশন প্রচার বন্ধ করেছে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানেরও। জয়া প্রদাকে নিয়ে তাঁর কুকথার নিন্দায় ঝড় উঠেছে সর্বত্র। তবে আজমের ছেলে আবদুল্লা এ দিন পাল্টা আক্রমণ করেছেন নির্বাচন কমিশনকেই। তাঁর দাবি, আজম মুসলিম বলেই তাঁকে শাস্তি দিয়েছে কমিশন। যোগীর প্রচার বন্ধ করার পরে আজমকেও একই শাস্তি দিয়ে আসলে বিজেপিকেই খুশি করতে চেয়েছে তারা। আবদুল্লার মন্তব্য, ‘‘টুইটারে জয়া প্রদা লিখেছিলেন, উনি রামপুরে আসছেন, অসুর-রাজ ধ্বংস করতে। অথচ এমন কথা বলার পরেও বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।’’ আজমের ছেলের দাবি, তাঁর বাবাকে কোনও নোটিস পাঠায়নি কমিশন। তাঁর বিচার পাওয়ার অধিকার হরণ করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে আজমকে আজ দ্বিতীয় নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারের সময়ে আজম যে সব বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, তার ভিত্তিতেই এই নোটিস। অভিযোগ, আজম মন্তব্য করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মুসলিমদের হত্যা করেছেন। এ ছাড়াও আজম বলেছেন, অপরাধীরা রয়েছেন সাংবিধানিক পদে। প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন কমিশন মনে করছে, আজম আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন। নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য সমাজবাদী পার্টির নেতাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে কমিশন।