এয়ার ইন্ডিয়ার বোর্ডিং পাসে কেন মোদীর মুখ

বোর্ডিং পাসের ছবি তুলে টুইট করেন শশী কান্ত। প্রশ্ন তোলেন, কী ভাবে দুই বিজেপি নেতার ছবি থাকতে পারে বোর্ডিং পাসে? এটা কি নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে না? 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

সেই টিকিট

রেলের টিকিটের পরে এ বার এয়ার ইন্ডিয়ার বোর্ডিং পাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ! বিতর্ক শুরু হতেই দ্রুত ওই বোর্ডিং পাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল উড়ান সংস্থা।

Advertisement

ঘটনায় শোরগোল পড়ে পঞ্জাব পুলিশের প্রাক্তন ডিজি শশী কান্তের টুইটে। আজ দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে যে বোর্ডিং পাসটি দেওয়া হয়, তার পিছনে মোদী এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর ছবি-সহ ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর বিজ্ঞাপন। বোর্ডিং পাসের ছবি তুলে টুইট করেন শশী কান্ত। প্রশ্ন তোলেন, কী ভাবে দুই বিজেপি নেতার ছবি থাকতে পারে বোর্ডিং পাসে? এটা কি নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে না?

প্রাক্তন ডিজি লিখেছেন, ‘‘আজ, ২৫ মার্চ, ২০১৯ দিল্লি বিমানবন্দরে। আমার এয়ার ইন্ডিয়ার বোর্ডিং পাসে জ্বলজ্বল করছে নরেন্দ্র মোদী, ভাইব্রান্ট গুজরাত এবং বিজয় রূপাণী। ছবিটা শেয়ার করলাম। অবাক লাগছে, সাধারণ মানুষের টাকা আমরা নির্বাচন কমিশনের পিছনে নষ্ট করছি কেন? ওরা দেখতে পায় না, শুনতে পায় না, বলতেও পারে না।’’ বিষয়টি কমিশনের নজরে পড়তেই খোঁজখবর শুরু করে তারা। এর পরেই ওই বিজ্ঞাপন-সহ বোর্ডিং পাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এয়ার ইন্ডিয়া।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

উড়ান সংস্থাটির বক্তব্য, কিছু দিন আগে বোর্ডিং পাসগুলি ছাপানো হয়েছে। কোনও তৃতীয় পক্ষ বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। তবে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর বিজ্ঞাপন দেওয়া বোর্ডিং পাস আর ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র। শশী কান্তের কথায়, ‘‘এটা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ রকম হওয়া উচিত নয়। কোনও দলের এতে সুবিধা হবে কি না, তা জানতে চাই না। নিয়ম ভাঙা উচিত নয়।’’

সম্প্রতি একই ঘটনা ঘটেছিল ভারতীয় রেলওয়েতে। এ নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এর পরেই রেলের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়, সরকারি সাফল্য সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞাপন কিংবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ-সহ কোনও টিকিট ছাপানো যাবে না।

২০০৭ সালের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার পরে রাস্তার ধারে ব্যানার, অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রীদের ছবি-সহ বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলতে হবে সমস্ত মন্ত্রক ও সরকারি সংস্থাগুলিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন