অস্ত্র শুধুই দেশপ্রেম, বোঝালেন জেটলিও

কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা বিজেপির এই ‘ফাঁদ’ থেকে বেরোতে চাইলেও তাদের যেনতেন ভাবে দেশপ্রেমের আবর্তেই আটকে রাখতে বদ্ধপরিকর শাসক শিবির। দেশপ্রেমের সংজ্ঞা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে ব্লগ লিখে ফের কংগ্রেসকে নিশানা করে আজ ফের সেটাই বুঝিয়ে দিলেন অরুণ জেটলি। যাঁকে বিরোধীরা ‘ব্লগমন্ত্রী’ বলেই কটাক্ষ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

বেকারত্ব-কৃষির দুর্দশা-দুর্নীতি-আর্থিক কেলেঙ্কারির মতো বিষয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতে তৈরি ছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু প্রথমে পুলওয়ামা এবং তার পরে বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানকে অস্ত্র করে দেশপ্রেমের হাওয়া তুলে লোকসভা ভোটে এখন উতরোতে মরিয়া বিজেপি। তারা রোজই দেশপ্রেম নিয়ে নানা ভাবে হাওয়া তুলে বিরোধীদের
সব রকম অভিযোগ চাপা দিতে চাইছে।

Advertisement

কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা বিজেপির এই ‘ফাঁদ’ থেকে বেরোতে চাইলেও তাদের যেনতেন ভাবে দেশপ্রেমের আবর্তেই আটকে রাখতে বদ্ধপরিকর শাসক শিবির। দেশপ্রেমের সংজ্ঞা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে ব্লগ লিখে ফের কংগ্রেসকে নিশানা করে আজ ফের সেটাই বুঝিয়ে দিলেন অরুণ জেটলি। যাঁকে বিরোধীরা ‘ব্লগমন্ত্রী’ বলেই কটাক্ষ করেন।

বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযান নিয়ে বিরোধীরা সরব হতেই জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে আসরে নেমে পড়ে বিজেপি। বিরোধী নেতাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসরে নামেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-সহ তামাম বিজেপি নেতৃত্ব। শারীরিক কারণে পথে-ঘাটে প্রচারে যেতে পারছেন না জেটলি। বিরোধীদের কথায়, ‘‘মোদীর ব্লগমন্ত্রীর তাই ব্লগই ভরসা!’’ জেটলির দাবি, সন্ত্রাস দমন প্রশ্নে কংগ্রেসের দুর্বল নীতির ফলেই সন্ত্রাসবাদীদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দেশপ্রেম নিয়ে বিজেপি নেতাদের এমনিতেই নিত্যদিন কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। স্বাধীনতা আন্দোলনে সঙ্ঘ পরিবারের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। দেশপ্রেম নিয়ে গত কালও বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। তার পরেই আজ ব্লগে একাধিক বার রাহুলকে নিশানা করেন জেটলি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আসলে রাহুল ও তাঁর মহাজোটের বন্ধুরা ভোটের স্বার্থে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধকে দুর্বল করতে সক্রিয় রয়েছেন। এতে আখেরে ক্ষতি ভারতেরই।’’

পুলওয়ামার ঘটনার পরে সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে এক ঘরে করার কূটনৈতিক কৌশল নিয়েছে ভারত। বিজেপির দাবি, নয়াদিল্লি সেই লক্ষ্যে অনেকাংশেই সফল। কারণ বালাকোটে অভিযানের পরে
একটি দেশও ভারতের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করেনি। এমনকি চিনও এ নিয়ে নীরব।

জেটলির মতে, ‘‘এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নির্বাচনের কথা ভেবে বালাকোটে হামলা চালিয়েছে, এ ধাঁচের মন্তব্য করে রাহুল গাঁধীর মতো নেতারা আসলে পাকিস্তানকেই সুবিধে করে দিচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন