Asom Gana Parishad

পিছনে গেল নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিরোধ, বিজেপির জোটে ফিরল অসম গণ পরিষদ

অগপ ছাড়াও পুরনো জোটসঙ্গী বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টকেও (বিপিএফ) পাশে পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ১৪:০০
Share:

অগপ সভাপতি অতুল বোরার (ডান দিকে) বিজেপি নেতা রাম মাধব। ছবি: সংগৃহীত।

মাস দুয়েক আগেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অসম গণ পরিষদ (এজিপি)। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে তখন ফুটছে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত। কেন্দ্র এই বিল লোকসভায় আনার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তায় নেমেছিল উত্তর-পূর্বের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। প্রতিবাদে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল এজিপি। লোকসভার নির্ঘণ্ট ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্য বদলে গেল সেই বিরোধের চিত্র। গুয়াহাটিতে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠকের পর, ফের পুরনো বন্ধু এজিপি-র সঙ্গে আগামী লোকসভা ভোটে গাঁটছড়া বাঁধার কথা জানাল বিজেপি।

Advertisement

অসম গণ পরিষদের মান ভাঙাতে মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে দিনভর বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব। ম্যারাথন বৈঠকের পর মাঝরাতে মেলে রফাসূত্র। গভীর রাতে বিজেপি নেতা রাম মাধব জানান, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে বিজেপি এবং অগপ এক সঙ্গে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ অগপ ছাড়াও পুরনো জোটসঙ্গী বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টকেও (বিপিএফ) পাশে পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিজেপি।

সাংবাদিকদের রাম মাধব বলেছেন, ‘‘সত্যিই একটা কষ্টসাধ্য দিন গেল।’’ তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট, উত্তরপূর্বে অগপকে পাশে পাওয়া বিজেপির কাছে খুব একটা সহজ ছিল না। কারণ, বিজেপি আগেই বলেছে, ক্ষমতায় ফিরলে তারা ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সংসদে উদ্যোগী হবে। অন্য দিকে, এই বিলের বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থান নিয়েছে উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো এজিপি-ও। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশ থেকে হিংসার শিকার হয়ে ভারতে আসতে চাওয়া অমুসলিম মানুষদের নাগরিকত্ব দিতেই এই বিল আনতে চেয়েছিল কেন্দ্র। যদিও কোনও অবস্থাতেই তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে রাজি ছিল না উত্তরপূর্বের রাজনৈতিক দলগুলি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কংগ্রেসও জানায়, ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে বাতিলের খাতায় ফেলবে তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: জল্পনা খারিজ দীপার, অঙ্কে ফের উত্তর মালদহ

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সংবেদনশীল উত্তরপূর্বে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো তাই কঠিন ছিল এজিপি-র কাছে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখতেই তারা ফের বিজেপির জোটে ফিরল, এমনটাই মনে করছে অসমের রাজনৈতিক মহল। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে অসমের ১৪টি আসনের মধ্যে সাতটিই পেয়েছিল বিজেপি, কংগ্রেস পেয়েছিল তিনটি আসন। অন্য দিকে একটি আসনেও জিততে পারেনি অসম গণ পরিষদ। ২০১৬ সালে অসম বিধানসভার নির্বাচনে অবশ্য বড় সাফল্য পায় এজিপি-বিজেপি-বিপিএফ জোট। টানা তিন বারের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তারা। সেই টোপ দিয়েই এজিপি এবং বিপিএফকে ফের জোটে ফেরাতে সফল হল বিজেপি, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন