দুই রানির লড়াইয়ের শেষ অঙ্ক আগামী কাল। গুয়াহাটিতে তিনবারের সাংসদ বিজয়া চক্রবর্তীর বদলে এবার বিজেপি কুইন ওঝাকে প্রার্থী করেছে। তিনি নামে ‘কুইন’ হলেও, কংগ্রসের প্রার্থী ববিতা শর্মা আবার ‘বিউটি কুইন’। ১৯৮৮ সালে ববিতা প্রথম ‘মিস নর্থ ইস্ট’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী। পরে তিনি অভিনেত্রী, মডেল হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। ববিতার কথায়, “আমি রানি নই, জনতার প্রজা হয়েই থাকতে চাই। সেটাই সুস্থ গণতন্ত্র।” অন্য দিকে, ১৯৯৬ সালে গুয়াহাটির মেয়র থাকা কুইনদেবীরও মত, “রাজতন্ত্র ও রানির শাসন কংগ্রেসের সংস্কৃতি। আমি জনতার সেবক হয়েই থাকতে চাই।”
ঘটনাক্রমে দুই ‘রানি’ই ১৯৮৫ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। ববিতা যোগ দেন কংগ্রেসে। কুইন অসম আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পরে অসম গণ পরিষদের সদস্য হন। দু’জনই পূর্ব গুয়াহাটি কেন্দ্রে বিধানসভা ভোটে হেরেছিলেন। কুইনদেবী ম্যাট্রিক পাশ। ববিতা ইতিহাসে এমএ। অধ্যাপনাও করেন। ৬৩ কোটির সম্পত্তির মালকিন কুইনদেবী ব্যবসায়ী।
পূর্ব গুয়াহাটি ছাড়াও আগামী কাল, অসমের শেষ পর্বের ভোটে ভাগ্য নির্ধারিত হবে ধুবুড়ি, বরপেটা ও কোকড়াঝাড়ের প্রার্থীদের। ধুবুড়ির বর্তমান সাংসদ তথা এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল রাজ্যের প্রার্থীদের মধ্যে ধনীতম। প্রায় ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। আজমলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক আবু তাহের বেপারি। বরপেটা এআইইউডিএফের হাতে থাকলেও সেখানে সাংসদ সিরাজুদ্দিন আজমল দাঁড়াননি। এআইইউডিএফ প্রার্থী হাফিজ রফিকুল ইসলাম। তবে সেখানেও ১০ বারের বরপেটা-বিজয়ী কংগ্রেসের দিকেই পাল্লা ভারি। সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী জনিয়ার বিধায়ক আব্দুল খালেক। তাঁর সঙ্গে মূল লড়াই অগপ প্রার্থী তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুমার দীপক দাসের। বরপেটায় মুসলিম ভোট ৭০ শতাংশ। সেখানে নাগরিকত্ব বিলকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস। বরপেটা লোকসভার অন্তর্গত ১০টি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটি কংগ্রেসের হাতে। কোকরাঝাড়ে মূল লড়াই বর্তমান নির্দল সাংসদ নব শরনিয়া ও বিপিএফ-বিজেপি প্রার্থী তথা মন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্মর মধ্যে। সেখানে প্রমীলারানি, কংগ্রেসের শব্দ রাভা ও ইউপিপিএলের উখরাও ব্রহ্মর মধ্যে বড়ো ভোট ভাগাভাগি হয়ে গেলে প্রাক্তন আলফা কমান্ডার নব সুবিধা পেতে পারেন।