পাঁচ রাজ্যে হারের পরে আগের সেই দাপট উধাও। বিহারে এখন নিজেদের ভাগের আসন ছেড়ে হলেও জোট রাখতে সক্রিয় বিজেপি। সেখানে নীতীশ বাড়তি আসন চান। দর কষছেন রামবিলাস পাসোয়ানও। এই অবস্থায় জট কাটিয়ে আগামিকালের মধ্যে ‘ঐক্য’-র ছবি দেখাতে চাইছে বিজেপি।
গত কালের পর আজও অরুণ জেটলি বৈঠক করেন রামবিলাস ও চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গে। নীতীশ দিল্লি আসার পরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। এর আগে অমিত শাহ ও নীতীশ বিহারে সমান সংখ্যক আসনে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু জোট থেকে উপেন্দ্র কুশওয়াহার বিদায় ও ৫ রাজ্যে বিজেপির হারের পরে বিহারে নীতীশ ‘বড় ভাই’ হয়ে উঠেছেন। তিনি এখন বাড়তি আসন চাইছেন। সেটি করতে হলে বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে বিজেপিকে ১৭টিতে লড়ে নীতীশকে ১৮টি ছাড়তে হয়। সে ক্ষেত্রে পাঁচটি আসন পড়ে থাকে রামবিলাসের জন্য। কিন্তু রামবিলাস চান সাতটি আসন। পাশাপাশি নিজের জন্য রাজ্যসভায় একটি আসন। কারণ, তিনি নিজে আর লোকসভায় লড়তে আগ্রহী নন।
জট সেখানেও। কারণ, রাজ্যসভায় শরদ যাদবের আসনটি খালি হলেও সেখানে অর্ধেক মেয়াদের জন্য সদস্য হতে নারাজ রামবিলাস। এর পর রাজ্যসভার আসন খালি হবে অসমে, আগামী বছর জুন মাসে। দু’টি আসনই কংগ্রেসের। সুষমা স্বরাজ ভোটে না লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁকেও রাজ্যসভা থেকে জিতিয়ে আনার দায় রয়েছে। কিন্তু রামবিলাসও নাছোড়। রামবিলাসের জন্য বিরোধী শিবিরের দরজা যে খোলা, তা জানেন বিজেপি নেতৃত্ব। গত কাল তেজস্বী যাদব ইঙ্গিত দেন, তাঁদের জোটে স্বাগত রামবিলাস।
বেগতিক বুঝে বিজেপি আপাতত স্থির করেছে, বিহারে রামবিলাসকে পাঁচটি আসন দেওয়া হবে। একটি আসন দেওয়া হবে উত্তরপ্রদেশ বা ঝাড়খণ্ডে। একটি রাজ্যসভা আসনও ছাড়া হবে। বিহারের জামুই, হাজিপুর, সমস্তিপুরের পাশাপাশি খাগাড়িয়া বা বৈশালীর মধ্যে একটি এবং নওয়াদা ও বেগুসরাইয়ের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হচ্ছে। কিন্তু এতে পাসোয়ান সন্তুষ্ট নন বলে জানা গিয়েছে।
এ বারে নীতীশের সঙ্গে জেটলি এবং অমিত শাহের বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ নেবে। সূত্রের খবর, বিহারে নিষাদ সমাজের নেতা মুকেশ সহনীকে মুজফ্ফরপুর আসনটি ছাড়া হবে। নীতীশ ও বিজেপি ১৭টি করে আসনে লড়বে। রাতে জেটলি-নীতীশ এবং শনিবার অমিত-নীতীশ বৈঠকে সমঝোতা করে শনিবারের মধ্যে চূড়ান্ত ঘোষণা করতে চায় দু’পক্ষ।