ছবি পিটিআই।
ভোট যাতে না দিতে পারেন, তাই জোর করে দলিত গ্রামবাসীদের আঙুলে কালি লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোট না দেওয়ার জন্য ৫০০ টাকা করে ঘুষও দেওয়া হয় তাঁদের। আজ সপ্তম দফায় উত্তরপ্রদেশের ১৩টি আসনে ভোট চলাকালীন এই অভিযোগ আনলেন চন্দৌলী জেলার তারাজীবনপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
এই ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকে স্থানীয় থানার বাইরে বিক্ষোভ জানায় এসপি ও বিএসপি কর্মীরা। শামিল হন গ্রামবাসীরা। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘ওঁরা হাতে কালি লাগিয়ে বলে আমরা আর ভোট দিতে পারব না। শনিবার বিজেপি কর্মী পরিচয় দিয়ে তিন জন ৫০০ টাকা করে দিয়েছিল কয়েক জনকে।’’ জেলার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট কুমার হর্ষ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁদের হাতে কালি লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁরাও ভোট দিতে পেরেছেন। কারণ, কালি লাগানোর পরে ভোট শুরু হয়।
চন্দৌলীর জেলাশাসক নভনীত সিংহ চাহল জানিয়েছেন, আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার কথা জানতে পেরে গ্রামে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। গ্রামের অন্য কেউ এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হননি। পরে নভনীত বলেছেন, ‘‘দলিত
ভোটারদের হাতে যে কালি লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগ, তা সাধারণ কালি। পরে প্রত্যেকেই ভোট দিয়েছেন।’’ অভিযোগকারীদের থেকে টাকাও ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি মুখপাত্র হরিশ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘‘বিরোধীরা চক্রান্ত করে মিথ্যা প্রচার করছে। ওই আসনে এমনি-ই আমরা বিরাট ব্যবধানে জিতব।’’
ভোট চলাকালীন বিএসপি ও এসপি সমর্থকদের মধ্যে অশান্তির জেরে বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে চন্দৌলীতে। জেলার নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।