প্রতীকী ছবি।
একই লোকসভা আসনে একই ব্যক্তির নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল দুই দল! এমন অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে!
পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ আসনের জন্য গত কাল কংগ্রেস তনুশ্রী ত্রিপাঠীর নাম ঘোষণা করেছিল। তনুশ্রী কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত মন্ত্রী অমরমণি ত্রিপাঠীর মেয়ে। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগেই ওই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তনুশ্রীর নাম ঘোষণা করেছিল অখিলেশ যাদবের কাকা শিবপাল যাদবের দল প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি! বড়সড় গোলমাল হয়েছে বুঝে কংগ্রেস আজ ওই কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করেছে। রাহুল গাঁধীর দল মহারাজগঞ্জে প্রার্থী করেছে টেলিভিশন অ্যাঙ্কর সুপ্রিয়া শ্রীনাতেকে।
প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি আগেই তনুশ্রীকে প্রার্থী করেছে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিড়ম্বনায় পড়েন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের নতুন প্রার্থী সুপ্রিয়া ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন। তিনি রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। তাঁর বাবা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা হর্ষ বর্ধন মহারাজগঞ্জের দু’বারের সাংসদ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কনসালটেটিভ কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
অন্য দিকে, তনুশ্রীর বাবা তথা উত্তরপ্রদেশের একদা প্রভাবশালী মন্ত্রী অমরমণি ত্রিপাঠী বর্তমানে কবি মধুমিতা শুক্ল হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, ২৭ বছর বয়সি তনুশ্রীর রাজনৈতিক উচ্চাশা রয়েছে। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার চোখে পড়েছিলেন তিনি। সম্ভবত সে কারণেই কংগ্রেস তাঁকে মহারাজগঞ্জে প্রার্থী করেছিল। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন তনুশ্রীর ভাই আমনমণি ত্রিপাঠী। ভাইয়ের ভোট প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তনুশ্রীর। তনুশ্রী যে দলের হয়ে এ বারে ভোটে দাঁড়িয়েছেন, সেই প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি রাজ্যে ৫০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, শিবপালের দলের একটি আসনেও জয়ের সম্ভাবনা নেই। উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি-আরএলডির মহাজোটের ভোট কাটাই তাদের উদ্দেশ্য।