(বাঁ-দিকে) আঙুলে কালির দাগ দেখাচ্ছেন সঞ্জয় ঝা। পাশের ছবিতে আঙুলে কালির দাগ নেই। ছবি: টুইটার
ইভিএমের পরে এ বার বিতর্কে ভোটের কালি। অভিযোগ উঠেছে, মোছা যায় না, নির্বাচন কমিশনের ব্যবহার করা এমন কালিও উঠে যাচ্ছে নেলপলিশ রিমুভার ব্যবহার করে!
ইভিএম বিতর্ক রাজনীতির চাপানউতোর ছাড়িয়ে যখন আদালতের দরজায়, তখন ভোটের কালি নিয়ে শুধু বিরোধীরাই অভিযোগ আনেননি, নাগরিক সমাজের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে সবর হয়েছেন। আজ সকালে ভোট দিয়ে আঙুলে কালির ছাপ লাগানো তাঁর একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন কংগ্রেস মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা। কিছু ক্ষণ পরেই টুইটারে আর একটি পোস্ট করেন সঞ্জয়। সেখানে দেখা যায়, ঝা-র আঙুল থেকে মুছে গিয়েছে ভোটের কালি। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার আঙুলের ভোটের কালি এক ঘণ্টার মধ্যেই মুছে গিয়েছে নেলপলিশ রিমুভার ব্যবহার করে। আমার এক বন্ধু এ নিয়ে একটা ছবি পাঠিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁর আঙুলের ভোটের কালি উঠে গিয়েছে। ব্যাপারটা নিজের উপর প্রয়োগ করে দেখলাম!’’
প্রথম পর্বের ভোটের দিনই এ ব্যাপারে অভিযোগ এনেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিক। সে দিনই হায়দরাবাদের আর এক সাংবাদিক একই অভিযোগ করেন। নয়ডার ওই সাংবাদিক বিষয়টি কমিশনের নজরেও এনেছিলেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জাল ভোট ঠেকাতে মাইসুরুর একটি সংস্থার কালি ব্যবহার করে থাকে নির্বাচন কমিশন। এই কালি আঙুলে এক সপ্তাহ লেগে থাকার কথা। এ বারের লোকসভা ও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জন্য কমিশন ২৬ লক্ষ বোতল কালি কিনেছে। এর জন্য খরচ হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। কালি বিতর্কে কমিশন বলেছে, ‘‘১৯৫০ থেকে এই কালির ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশ এই কালি ব্যবহার করে থাকে। ভারতে ভোটের আগে কালি পরীক্ষা করে দেখার জন্য সাধারণত সিএসআইআর-এ পাঠানো হয়।’’ তবে এ বার সেই পরীক্ষা ঠিক ভাবে হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। উপ নির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার অবশ্য প্রথম পর্বের ভোটে অভিযোগ ওঠার পরেই দাবি করেছিলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তার পরেও কালি নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগ শেষ হচ্ছে না।