National

সনিয়া-ঘনিষ্ঠ টম বঢ়ক্কন গেলেন বিজেপিতে

খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে এ বার বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন টম বঢ়ক্কন। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা চলছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ১৭:২১
Share:

টম বঢ়ক্কনকে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। বৃহস্পতিবার, দিল্লিতে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে

লোকসভা ভোটের যখন আর এক মাসও দেরি নেই, তখন কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের সম্পাদক টম বঢ়ক্কন যোগ দিলেন বিজেপিতে। সনিয়া গাঁধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত টমকে পাশে বসিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এই ঘোষণা করেন। খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে এ বার বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন টম বঢ়ক্কন। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা চলছে।

Advertisement

সনিয়া যখন কংগ্রেস সভানেত্রী ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সেতু ছিলেন টম। কেন দল ছাড়লেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দিল্লিতে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে টম বলেন, ‘‘আত্মসম্মানবোধ রয়েছে, এমন কারও আর জায়গা নেই কংগ্রেসে। বায়ুসেনা বালাকোটে জইশের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরেও কংগ্রেস দেশের সেনাবাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আমি খুবই হতাশ হয়েছি। যদি কোনও রাজনৈতিক দল এমন কোনও অবস্থান নেয়, যা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী, তা হলে সেই দলটাকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা থাকতে পারে না।’’ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতেও তিনি উৎসাহিত হয়েছেন।

ভোটের মুখে বিরোধী শিবির থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় টম দ্বিতীয়। ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ইতিমধ্যেই।

Advertisement

টানা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সুনজরে থাকার পরেও টম কোনও দিন ভোটযুদ্ধে লড়েননি। কংগ্রেসের প্রার্থী হননি কোনও নির্বাচনে। অথচ বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেসের নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করার দায়িত্বে থেকেছেন যাঁরা, টম বরাবরই ছিলেন তাঁদের সামনের সারিতে।

আরও পড়ুন- কংগ্রেস-তৃণমূলের আরও ২ বিধায়ক-সহ এক ঝাঁক কাউন্সিলর কি বিজেপিতে? ফের শুরু জল্পনা​

আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগ দিলেন অর্জুন সিংহ, তৃণমূল বলল গুরুত্বহীন ঘটনা​

দিল্লির রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে পারদর্শী বিজেপির সঙ্গে টক্কর দিতে সেই টমকেই ইদানিং কিছুটা পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল কংগ্রেসে। টম দলের মিডিয়া সেলের সম্পাদক থাকলেও, ছড়ি ঘোরানোর জন্য তাঁর মাথার উপর বসানো হয় রণদীপ সুরজেওয়ালা ও প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীকে।

সাংবাদিকদের সামনে টম বঢ়ক্কন এ দিন কংগ্রেসের ‘বংশপরম্পরার রাজনীতি’ ও ‘অনুগতদের দূরে ছুড়ে ফেলার পথ’-এর সমালোচনাতেও সরব হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন