ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালানোয় ওড়িশার এক পর্যবেক্ষককে সাসপেন্ড করল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী প্রচারে গত কাল সম্বলপুরে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানেই আচমকা তাঁর কপ্টারে তল্লাশি চালান ১৯৯৬ ব্যাচের কর্নাটক ক্যাডারের আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিন। যার জেরে মোদীর রওনা হতে ১৫ মিনিট দেরিও হয়ে যায়। আজ মহসিনকে সাসপেন্ড করার নির্দেশে কমিশন বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) এবং এই বাহিনীর নিরাপত্তা পাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশ রয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ করেননি মহসিন। সেই কারণেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। কমিশনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, এসপিজি নিরাপত্তা যাঁরা পান, তাঁদের এই ধরনের তল্লাশি থেকে রক্ষাকবচ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গাঁধী পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বেও রয়েছে এই বাহিনী।
দিন কয়েক আগে কর্নাটকের চিত্রদুর্গে মোদীর সভায় তাঁর হেলিকপ্টার থেকে নামানো একটি কালো বাক্স ঘিরে বিতর্ক বাধে। বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, তাতে এসপিজি-র নিরাপত্তার সরঞ্জাম ছিল। যদিও কংগ্রেস দাবি তুলেছে, বাক্সে কী ছিল, তদন্ত করে জানাক নির্বাচন কমিশন। এক দিকে যখন মোদীর কপ্টারে তল্লাশি চালিয়ে সাসপেন্ড হচ্ছেন অফিসার, তখন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর কপ্টারে একই ধরনের তল্লাশি চলেছে। কিন্তু বিজেপির পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কপ্টারে কমিশনের কর্তারা যখন তল্লাশি চালাতে গিয়েছেন, তখন প্রবল চেঁচামেচি করেছেন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
একটি ওড়িয়া টিভি চ্যানেলে দেখা যায়, ধীর-স্থির হয়ে নিজের হেলিকপ্টারে বসে রয়েছেন নবীন। বিজেডি নেতা তখন সদ্য নেমেছেন রৌরকেলার হেলিপ্যাডে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্রিফকেস খুলে অফিসারেরা উল্টেপাল্টে দেখছিলেন ভাঁজ করা পাজামা-পাঞ্জাবি, তোয়ালে। কপ্টারের আইসবক্স খুলেও নেড়েচেড়ে দেখেন এক অফিসার। একটি কথাও বলেননি নবীন। কমিশন সূত্রের বক্তব্য, নেতারা ভোটারদের প্রভাবিত করতে প্রচারে নগদ টাকা বা কোনও উপঢৌকন নিয়ে যাচ্ছেন কি না, চাইলে সেটাই তল্লাশি করে দেখা হতে পারে। নবীনের কপ্টার থেকে ‘আপত্তিকর’ কিছু মেলেনি।
‘ভাইরাল’ হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধানের ভিডিয়োটি। সম্বলপুরে তাঁর হেলিকপ্টার নামতেই পুলিশ নিয়ে তল্লাশি করতে এগিয়ে যান কমিশনের এক আধিকারিক। দেখা যায়, তাতে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে হাততালি দিয়ে চিৎকার করছেন ধর্মেন্দ্র। কর্তব্যরত এক পুলিশ অফিসার তাঁকে ওই কর্তার পরিচয়পত্র দেখান। তাতেও শান্ত করা যায়নি তেলমন্ত্রীকে।