মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা. ছবি: পিটিআই।
ভারত-পাক সম্পর্কে উত্তেজনা থাকলেও লোকসভা নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে হওয়ার আশ্বাস দিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
আজ উত্তরপ্রদেশে লোকসভার নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের গোটা দল। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় নির্বাচনে বিজেপি জেতার পরেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব হন মায়াবতী-অখিলেশরা। তাই বিতর্ক এড়াতে গোটা রাজ্যে সব ইভিএমের সঙ্গে যাতে ভিভিপ্যাট বসানো হয়,তা নিশ্চিত করেন কমিশন কর্তারা। সূত্রের দাবি, অধিকাংশ রাজ্যের নির্বাচন প্রস্তুতি আশানরূপ বলেই মনে করছে কমিশন।
আগামী ৩ জুনের মধ্যে কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। সূত্রের দাবি, ভোট হবে অন্তত সাত থেকে আট দফায়। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ভোট শুরু করার পক্ষপাতী কমিশন। নির্বিঘ্নে ভোট করাতে চাওয়া হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, সীমান্তে উত্তেজনা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও কমেছে। আগামী দু-তিন দিনে সীমান্তে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে গেলে কমিশনের দাবি মতো আধা সেনা দিতে সমস্যা হবে না কেন্দ্রের।
কমিশন সূত্রও জানিয়েছে, শিবরাত্রির পরেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এখন কমিশন সূত্র বলছে, যদি সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং কেন্দ্র আধা সামরিক বাহিনী যথাসময়ে মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেবে কমিশন। সুনীল বলেন, ‘‘যে সময়ে নির্বাচন করার কথা ভাবা হয়েছে, সে সময়েই হবে।’’
চলতি নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর সম্পত্তি ঘোষণার প্রশ্নে নতুন নিয়ম এনেছে কমিশন। দেশের পাশাপাশি বিদেশে কোনও সম্পত্তি থাকলে তাও হলফনামায় জমা দিতে হবে প্রতিটি প্রার্থীকে। সম্পত্তি লুকিয়ে রাখলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। প্রয়োজনে প্রার্থী পদ বাতিলের কথাও ভাবছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন,‘‘প্রত্যেক প্রার্থীর সম্পত্তির খতিয়ান নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকবে। আয়কর দফতর চাইলে তা দেখতেই পারে। কোনও বৈষম্য দেখা দিলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রতিপক্ষ বা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রুখতে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। কমিশন জানায়, পর্যবেক্ষক ছাড়া আমজনতাও কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবে। তার জন্য সি-ভিজিল মোবাইল অ্যাপলিকেশন বাজারে আনতে চলেছে কমিশন। যার মাধ্যমে পরিচয় গোপন করে কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা। কমিশনের আশা, এতে ভোট মরসুমে বিদ্বেষমূলক প্রচার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।