—ফাইল চিত্র।
টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। এই কারণে, তামিলনাড়ুর ভেলোর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট বাতিল করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাতে গোটা ঘটনা জানিয়ে তারা নির্বাচন বাতিলের সুপারিশ করে চিঠিও দেয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই ১৮ এপ্রিল ভেলোরে নির্বাচন বাতিলের ঘোষণা করে কমিশন।
তামিলনাড়ুর ৩৯টা আসনেই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের দিন ধার্য করেছিল কমিশন। তবে এই নির্দেশের ৩৯টির বদলে ৩৮টি আসনে নির্বাচন হবে বৃহস্পতিবার।
নির্বাচনে জিততে ভোটারদের টাকা-বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রভাবিত করার ঘটনা মাঝে মধ্যেই সামনে আসে। সেই তালিকায় প্রথম থেকেই উপরের দিকে রয়েছে তামিলনাড়ুর নাম। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেমন, তামিলনাড়ুর আরাক্কোনম কেন্দ্রের ডিএমকে প্রার্থী এস জগৎরক্ষাণন। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের জন্য নগদ এক কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। ভেলোর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন ডিএমকে-র কোষাধ্যক্ষ এস দুরাইমুরুগানের ছেলে কাথির আনন্দ। ছেলেকে জেতাতে দুরাইমুরুগান পুরস্কার দেবেন ৫০ লাখ টাকা। যে বিধানসভা এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি লিড পাবেন, সেখানকার নেতারা ওই টাকা পাবেন। কম যান না তাঁরই প্রতিপক্ষ ভেলোর কেন্দ্রের এডিএমকে প্রার্থী এসি সন্মুগম। ছ’টি বুলেট বাইক, দেশে এবং বিদেশে থাকা খাওয়ার খরচ-সহ বেড়ানোর টিকিট দেওয়ার মতো সুযোগও দিচ্ছেন তিনি।
ভেলোরের নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগেই কাথিরের কাটপাডি এলাকার বাসভবনে যান কমিশনের আয়কর দফতরের কর্মী-অফিসরারা। বাড়ির পাশাপাশি কাথিরের মালিকানাধীন একটি স্কুল এবং তাঁর এক ঘনিষ্ঠ অনুগামীর বাড়িতেও তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। অভিযানে মোট ১৯ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: কংগ্রসের প্রচার মধ্যগগনে, মোদির জন্যে কি ঝুলে রয়েছে ইনদওর, বিদিশা, ভোপাল?
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ ভাবে টাকা উদ্ধারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি, আইন মন্ত্রকের কাছেও সুপারিশের একটি প্রতিলিপি পাঠায় তারা।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)