সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। ছবি পিটিআই।
মালেগাঁও বিস্ফোরণের প্রধান চক্রান্তকারী হিসেবে তিনি অভিযুক্ত। ‘মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড ক্রাইম’ আইনে আনা অভিযোগ থেকে আদালত তাঁকে মুক্তি দিলেও খুন, খুনের চক্রান্ত, দাঙ্গার চক্রান্ত এবং ধর্মের নামে হিংসা ও সন্ত্রাসের মতো ভারী ভারী অভিযোগে মামলা চলছে। আপাতত জামিনে মুক্ত মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সেই সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের প্রার্থিপদ বাতিল চেয়ে এনআইএ আদালতে মামলা করেছেন মালেগাঁও বিস্ফোরণে নিহত এক তরুণের বাবা। একই দাবি নিয়ে কমিশনে আবেদন জানিয়েছেন সমাজকর্মী তেহশিন পুনেওয়ালা।
মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে একটি মসজিদের সামনে ২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর পর পর কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণে ৬ জন মারা যান। নিহত এক তরুণের বাবা নিসার সইদ হামলার প্রধান অভিযুক্ত এই প্রজ্ঞার প্রার্থিপদ খারিজের আবেদন করে বৃহস্পতিবার এনআইএ আদালতে মামলা করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, হত্যা, দাঙ্গা ও সন্ত্রাসের মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এই মহিলাকে যে ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তা ছাড়া স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রজ্ঞা। শারীরিক ভাবে শক্ত-সমর্থ না হলে এই প্রবল গরমে প্রার্থী হয়ে তিনি প্রচার করতে পারতেন না। সুতরাং আদালতকে অসত্য বলেছিলেন প্রজ্ঞা। তাঁর জামিনও খারিজ করা হোক। মামলাটি গ্রহণ করে সোমবারের মধ্যে এনআইএ এবং প্রজ্ঞার কাছে জবাবি হলফনামা চেয়েছেন বিচারক। নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনে সমাজকর্মী তেহশিন পুনেওয়ালা বলেছেন, সন্ত্রাসের মতো গুরুতর ধারায় অভিযুক্ত কারও প্রার্থী হওয়া অনুচিত। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে কমিশনের উচিত প্রজ্ঞার প্রার্থিপদ খারিজ করে দেওয়া। অজমের দরগার সামনে বিস্ফোরণেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে প্রজ্ঞার নাম উঠে এসেছে। ৯ বছর জেলও খেটেছেন তিনি।
কংগ্রেস বলছে— সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজেপির লড়াইয়ের দাবি যে কত ঠুনকো, সন্ত্রাস-খুনে অভিযুক্তকে প্রার্থী করে মোদী তা দেখিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিজেপি মুখপাত্র জিভিএল নরসিংহ রাও সাধ্বীকে নির্দোষ আখ্যা দিয়ে বলেন, হিন্দুদের জঙ্গি সাজানোটা কংগ্রেসের চক্রান্ত। রাহুল গাঁধী তার মাথা। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই বিজেপি ভোপালে প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করেছে। ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ নিয়ে সব চেয়ে বেশি সরব ছিলেন দিগ্বিজয় সিংহ। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন প্রজ্ঞা। এ দিন একটি প্রচারসভায় প্রজ্ঞা কান্নায় ভেঙে পড়ে দাবি করেন, জেলে পুলিশ তাঁর ওপর অত্যাচার করে অনেক কিছু স্বীকারোক্তি আদায় করে নিয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দিল্লিতে দলের সদর দফতরে নরসিংহ এই সাংবাদিক বৈঠক করার সময়েই তাঁর দিকে জুতো উড়ে আসে।