উমেশের এই পোস্টেই বিতর্ক।
‘‘আমেরিকা বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ‘টাইম’ মোদীকে ‘ডিভাইডার ইন চিফ’ উপাধিতে সম্মানিত করেছে। এই সম্মানের জন্য সমস্ত দেশবাসীর তরফে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীকে অনেক শুভেচ্ছা।’’
শুনলে বিশ্বাস নাও হতে পারে। ‘টাইম’ মোদীকে ‘বিভেদের গুরু’ বলায় মোদী-ভক্তরা যখন ফুঁসছেন, তখন কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এ কথা লিখেছিলেন তাঁর দলেরই এক নেতা। তিনি ঝাড়খণ্ডে বিজেপির যুব মোর্চার নেতা উমেশরঞ্জন সাহু। তবে কিছুক্ষণ পরেই তাঁর ভুল ভাঙে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই পোস্ট মুছে দেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপাতত ভাইরাল ভ্রান্তিবিলাস। উমেশের এই ‘শুভেচ্ছাবার্তা’র স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। তা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে মজেছে বিরোধীরা। এতেই বেজায় লজ্জিত উমেশ। শনিবার ফোনে ধরা হলে উমেশ বলেন, ‘‘কী বলব বলুন, আমার নিজেরই খুব লজ্জা হচ্ছে। মুখ দেখানোর জো নেই!’’
এই ‘বিপত্তি’র দায় অবশ্য নিজে নিতে চাননি উমেশ। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘আমি এমন ভুল করতেই পারি না। আমার সোশ্যাল মিডিয়া যারা দেখভাল করে, তারাই না বুঝে এটা করেছে। শাস্তিস্বরূপ আমি তাদের সরিয়েও দিয়েছি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে ঝাড়খণ্ড বিজেপির অন্দরের খবর ভোটের মুখে এমন ঘটনায় খুশি নন দলের অনেক নেতারা। দল সূত্রে খবর, এমন ভাবে দলের ‘মুখ পোড়ানোয়’ উমেশকে তাঁরা সতর্কও করেছেন। রাঁচির এক কংগ্রেস নেতার টিপ্পনী, ‘‘মোদী ভক্তরা আসলে এমনই অন্ধ, কোনটা সমালোচনা, কোনটা প্রশংসা সেটুকুও বুঝতে পারেন না তাঁরা।’’