ফের ভোট? উৎসাহ নেই সাধারণ কাশ্মীরিদের 

‘‘রাজনৈতিক দলগুলি ভোট-ভোট করে বাজার গরম করছে ঠিকই, সাধারণ কাশ্মীরিরা কিন্তু একেবারেই উদাসীন। বলা ভাল কিছুটা আতঙ্কে’’, বলেছেন পুলওয়ামার অবন্তীপোরার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুবাশির ইকবাল।

Advertisement

সাবির ইবন ইউসুফ

অনন্তনাগ শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৮
Share:

ভোট আসছে। শুরু হয়েছে প্রচারও। কিন্তু লোকসভা ভোট নিয়ে উৎসাহ নেই উপত্যকার সাধারণ মানুষের। লোকসভা ভোটের মুখে এক দিকে প্রচার শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তাণ্ডব, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের খুনের ফলে প্রমাদ গুনছেন কাশ্মীরিরা।
গত রবিবার থেকে পথে নেমেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। সে দিন বিভিন্ন দলের মিছিল থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে, আগামী দিনে বাড়বে প্রচারের গতি। কিন্তু কাদের টানতে এই প্রচার? কে দেবে ভোট? বাস্তব বলছে, নির্বাচন নিয়ে একেবারেই উৎসাহহীন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ।
‘‘রাজনৈতিক দলগুলি ভোট-ভোট করে বাজার গরম করছে ঠিকই, সাধারণ কাশ্মীরিরা কিন্তু একেবারেই উদাসীন। বলা ভাল কিছুটা আতঙ্কে’’, বলেছেন পুলওয়ামার অবন্তীপোরার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুবাশির ইকবাল। তাঁর ব্যাখ্যা, গত ৩০ বছরে রাজনৈতিক কর্মীদের খুন করে কোনও লাভই হয়নি। কেবল আরও কয়েক জন স্ত্রী ও সন্তান স্বামী ও অভিভাবকহীন হয়েছেন। কিন্তু নেতা-কর্মীদের খুন হওয়া থামেনি। ইকবালের কথায়, ‘‘আমরা নেতাহীন রাষ্ট্র শুনেছি কিন্তু রাষ্ট্রহীন নেতার কথা শুনিনি। কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন ঠিক তাই।’’
১১, ১৮,২৩, ২৯ এপ্রিল ও ৬ মার্চ পাঁচ দফায় নির্বাচন কাশ্মীরে। তার আগে নিরাপত্তা জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজনীতিকদের দাবি, প্রতি বারের মতো এ বারেও বন্দুকের মুখে নির্বাচন করে রাজ্যের পরিস্থিতি এতটুকু বদলানো যাবে না। মানুষ যে দিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন সেদিনই পরিস্থিতি বদলাবে। অনন্তনাগে ট্রেডার্স ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ আয়ুবের মতে, ‘‘এই নির্বাচন অর্থহীন। টাকার অপচয় ছাড়া কিছু নয়। গত তিন দশকে কাশ্মীরে পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। এর বেশি পড়বেও না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুলওয়ামা হামলার রেশ এখনও কাটেনি। মাঝে ভারত-পাক উত্তেজনা আরও বাড়ায় সেই ছাপ প্রতি পদে। অবন্তীপোরা দিয়ে অনন্তনাগ পৌঁছানোর পথেই ১৩টি জায়গায় চেকপোস্ট। পুলওয়ামা, অনন্তনাগ বা অবন্তীপোরায় ভোট সংক্রান্ত কোনও হোর্ডিং নেই। ন্যাশনাল কনফারেন্সের এক কর্মী আব্দুল আহাদ মিসগার বলেছেন, ‘‘কিছুদিন আগে ওমর আবদুল্লা হাতেগোনা কয়েক জন কর্মীকে নিয়ে সভা করেছিলেন। তবে আমরা কোনও মানুষকে ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য বা আমাদের ভোট দেওয়ার জন্য জোর করতে পারি না। আমরা চাই না আরও কেউ নিকটজনকে হারান।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন