বন্দি লালু ফোনে চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনীতি: নীতীশ

মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা তথা লালুপ্রসাদের ছোটছেলে তেজস্বী যাদব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ছবি: পিটিআই।

বন্দি অবস্থাতেই লালুপ্রসাদ ফোনের মাধ্যমে রাজনীতি চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিহারের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা তথা লালুপ্রসাদের ছোটছেলে তেজস্বী যাদব। তাঁর কথায়, ‘‘নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে চুপ থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সৃজন কেলেঙ্কারি, মুজফফরপুর হোমের ধর্ষণ কাণ্ড নিয়েও তাঁর মুখ খোলা উচিত।’’ তবে জেলের থেকে লালুপ্রসাদ ফোন করেন কি না, তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তেজস্বী। রাজ্যে মহাজোটের শরিক কংগ্রেস ফোন করার অভিযোগ নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেছে নীতীশকে। দলের মুখপাত্র রাজেশ রাঠৌর জানতে চেয়েছেন, ‘‘ভিন্ রাজ্যের জেলের ভিতরে লালুপ্রসাদ কী করেন, নীতীশ কুমার তা কী ভাবে জানতে পারলেন?’’ নীতীশের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবও। তাঁর কথায়, ‘‘লালুপ্রসাদকে জেলেও শান্তিতে থাকতে দিতে চান না নীতীশ কুমার।’’

Advertisement

এক টিভি সাক্ষাৎকারে নীতীশ বলেছেন, ‘‘জেল থেকেই রাজনীতি করছেন লালুপ্রসাদ। ফোন করছেন বন্দি অবস্থাতেই। জেলের নিয়ম মানছেন না তিনি।’’ এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। নীতীশের শরিক দল বিজেপির হাতেই রয়েছে ঝাড়খণ্ডের শাসনভার। সে রাজ্যের প্রশাসন অবশ্য লালুপ্রসাদের কাছে ফোন থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ঝাড়খণ্ডের আইজি (কারা) বীরেন্দ্র ভূষণ আজ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে কোনও ভুল তথ্য রয়েছে। লালুপ্রসাদের ওয়ার্ডে বেশ কয়েক বার বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। সে সময়ে তাঁর কাছে কোনও ফোন পাওয়া যায়নি।’’

নীতীশ কুমারের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। ঝাড়খণ্ডের আইজি (কারা) বীরেন্দ্র ভূষণ জানিয়েছেন, জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী কোনও কয়েদি যদি বাইরে থাকেন তবে তাঁর নিরাপত্তা এবং গতিবিধি দেখার দায়িত্ব জেল প্রশাসনের। তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।’’ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ডিসেম্বর মাসে পশুখাদ্য মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন লালুপ্রসাদ। তিনটি মামলায় তাঁর সাড়ে ১৩ বছরের জেল হয়। তার পর থেকে কয়েক দফায় জেলে কাটালেও বেশির ভাগ সময়টাই হাসপাতালে কাটাচ্ছেন লালুপ্রসাদ। বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেছেন। বন্দি অবস্থাতেই দলের বিভিন্ন নেতাদের তিনি ফোন করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সেই অভিযোগ করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন