ফের এক মঞ্চে মায়া-মুলায়ম

এসপি নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও বিষয়টিকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি মুলায়ম— এমনটাই খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৭
Share:

পাশাপাশি: দীর্ঘ তিক্ততা কাটিয়ে এক মঞ্চে এসপি নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব ও বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মইনপুরীর সভায়। পিটিআই

প্রায় সিকি শতক পর একই মঞ্চ ভাগ করে নিলেন মুলায়ম সিংহ যাদব এবং মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এই চমকপ্রদ ঘটনার সাক্ষী রইল মুলায়মের নির্বাচনী ক্ষেত্র মইনপুরী। ভোটের মঞ্চে এঁদের মিলিয়ে দিলেন অভিন্ন প্রতিপক্ষ নরেন্দ্র মোদী!

Advertisement

এসপি নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও বিষয়টিকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি মুলায়ম— এমনটাই খবর। বাবাকে সামলাতে ছেলে অখিলেশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। জোটের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে ছাড়েননি মুলায়ম। লোকসভার শেষ দিনে বক্তৃতায় আশাপ্রকাশ করেছেন যে, নরেন্দ্র মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন।

আজ মায়ার সঙ্গে মঞ্চে পাশাপাশি মুলায়মকে দেখা গেলেও, বিএসপি নেত্রী যতটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন ততটাই আড়ষ্ট দেখিয়েছে মুলায়মকে। হাসিমুখে দু’জনের নমস্কার বিনিময়ের ছবি উঠেছে বটে, কিন্তু আলাদা করে দু’জনকে কথা বলতে দেখা যায়নি। এমনকি অনেকটা সময় মুখও অন্য দিকে ঘুরিয়েই রেখেছিলেন মুলায়ম। তবে খুব সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় জোটধর্ম বজায় রেখে বলেছেন, ‘‘মায়াবতীজি এসেছেন। তাঁকে স্বাগত জানাই। আমরা আনন্দিত যে আমাদের সমর্থনে তিনি এগিয়ে এসেছেন।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অন্য দিকে মুলায়মের প্রতি সম্ভবত প্রথম বার প্রকাশ্যে এত উচ্ছ্বসিত হতে দেখা গেল বহেনজীকে। আজ দীর্ঘ বক্তৃতায় মায়াবতী বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে মুলায়ম সিংহ যাদবের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি সমস্ত শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। নরেন্দ্র মোদীর মতো নকল বা জাল নেতা নন, অত্যাচারিত এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির এক জন যথার্থ নেতা মুলায়ম সিংহ।’’

এ যেন এক উলটপুরাণ। ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন এই মইনপুরীতেই জনসভা করে মুলায়ম ঘোষণা করেছিলেন, দু’মাসের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবেন মায়া। তার চার দিন পর বিশাল এক মিছিল নিয়ে তিনি মইনপুরী থেকে লখনউয়ে পৌঁছেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, এসপির সঙ্গে জোট ভেঙে দিয়ে বিজেপি সঙ্গে যোগ দেওয়া মায়াবতীকে হারানো। আপাত ভাবে দেখলে, মোদীকে হারানো উভয়ের অভিন্ন লক্ষ্য। সেই দায় থেকেই ১৯৯৫ সালে কুখ্যাত গেস্ট হাউস কেলেঙ্কারির পর (মায়াবতীকে বেআইনি ভাবে আটক করে রেখেছিলেন এসপি কর্মীরা) এত দিনের ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগল আজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন