অনুমোদন ছাড়া রাজনীতি নয় নমো টিভিতে, নির্দেশ কমিশনের

চলতি নির্বাচনের প্রচারে সেনাদের যাতে টেনে না আনা হয়, সে জন্য একাধিক বার সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

নমো টিভির সম্প্রচার হতে পারে। তবে অনুমোদন ছাড়া এই চ্যানেলে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান করা আপাতত যাবে না বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া লোগোও নমো টিভিকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী অফিসার।

Advertisement

পাশাপাশি ভোট প্রচারে কুকথা বলার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও সে রাজ্যের দলিত নেত্রী মায়াবতীকে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী মহারাষ্ট্রে প্রচারে গিয়ে সেনা নিয়ে যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সেই রিপোর্টও কমিশনের ঘরে জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশন কর্তারা।

চলতি নির্বাচনের প্রচারে সেনাদের যাতে টেনে না আনা হয়, সে জন্য একাধিক বার সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু দু’দিন আগে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার পরাক্রমের উদাহরণ টেনে নতুন ভোটারদের বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মোদী। বিরোধীরা কমিশনের দ্বারস্থ হলে সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাচনী অফিসারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারের হাত ঘুরে সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছায় দিল্লিতে। আজ উপ নির্বাচনী কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা বলেন, ‘‘রিপোর্ট এসেছে। যা কমিশনের নির্দিষ্ট দল খতিয়ে দেখবে।’’ যদিও কমিশন সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র থেকে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছে বলে জানানো হয়েছে। এখন কমিশন ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার। একই ভাবে নমো টিভির ক্ষেত্রে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন। বিজেপি জানিয়েছে, এটি একটি বিজ্ঞাপনী টিভি চ্যানেল। অর্থের বিনিময়ে ওই ডিটিএইচ চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়েছে দল। রাতে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চ্যানেল ভাড়া নিলেও তাতে কোনও রাজনৈতিক বিষয় সম্প্রচার করতে কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন। সূত্রের খবর, অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নমো টিভিতে রাজনৈতিক কোনও বিষয় প্রচার করা যাবে না।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিজেপি প্রার্থীদের হারাতে উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের একজোট হয়ে ভোট দেওযার পরামর্শ দিয়েছিলেন দলিত নেত্রী মায়াবাতী। পাল্টা আক্রমণে বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হিন্দু সমাজের ভোট ভাগাভাগি না করে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেন। আজ কমিশন জানিয়েছে, দু’টি ক্ষেত্রেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হওয়ায় নোটিস পাঠানো হয়েছে দুই নেতা-নেত্রীকে। আবার ভারতীয় সেনাকে ‘মোদীর সেনা’ বলে জনসভায় বক্তৃতা করার জন্য বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নখবির বিরুদ্ধেও নির্বাচনী বিধিভঙ্গের একটি মামলা করা হয়েছে।

কমিশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপের কথা মুখে বলছে ঠিকই, কিন্তু কমিশন তা সত্যিই চায় কি না— সেই প্রশ্ন তুলেছে সরকারের অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব দফতর। দেশের বিভিন্ন শহরে সম্প্রতি আয়কর দফতর যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল তাতে নির্বাচনী বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজস্ব দফতর যে ভাষায় চিঠির উত্তর দিয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ কমিশন। ফিরতি চিঠিতে কমিশন বলেছে, একটি সাংবিধানিক সংস্থার বিরুদ্ধে যে সুর ও ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা অনভিপ্রেত। রাজস্ব দফতরকে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন