ছবি: পিটিআই।
শেষ পর্বের ভোটের আগে বিহারে ‘যাদব’ কার্ডই খেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ পটনার পালিগঞ্জে এনডিএর সভায় মোদী আক্রমণ করলেন লালুপ্রসাদের পরিবারকেও। নিজে কৃষ্ণ-নগরী দ্বারকা থেকে এসেছেন, এ কথা বলার পাশাপাশি বিহারের ১৫ বছরের লালুপ্রসাদ-রাবড়ীদেবীর শাসনকালের উল্লেখ করে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। পটনা শহর লাগোয়া পাটলিপুত্র লোকসভা আসনের পালিগঞ্জে যাদব সম্প্রদায়ের আধিক্য বেশি। গত বার বিজেপির যাদব প্রার্থী রামকৃপাল জিতেছিলেন লালু-কন্যা মিসাকে হারিয়ে। এ বারেও সেই লড়াইয়ের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই যাদব ভোট কাছে টানতে কোনও ত্রুটি রাখলেন না প্রধানমন্ত্রী।
পালিগঞ্জের সভায় প্রায় ২৫ মিনিটের বক্তৃতার বেশিরভাগ জুড়েই ছিলেন লালুপ্রসাদ ও তাঁর পরিবার। যদুবংশ থেকে দ্বারকা এবং সুদর্শন চক্র থেকে ‘মাক্খন’, কোনও কিছুই বাদ দিলেন না তিনি। যাদব ভোট কাছে টানতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা নিজের জাতির নামে রাজনীতি করেছেন তাঁরা দেশ তো দূরের কথা, নিজের জাতির জন্যও কিছু করেননি।’’ বিহারের এক লম্বর যাদব পরিবারের বেনামি সম্পত্তির দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর দাবি, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রায় দু’দশক কাজ করেছি। কিন্তু এই পদকে আমি জনতার আশীর্বাদ ও সেবাই মনে করেছি। অনেকেই কিন্তু পদের অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।’’ লালুপ্রসাদ যে যাদব সম্প্রদায়ের জন্য কিছুই করেননি তা নতুন যাদব প্রজন্মকে মনে রাখতে বললেন তিনি।
লালু পরিবারের দুর্নীতিতে কংগ্রেসের প্রশ্রয় রয়েছে বলেও তিনি ভোটারদের মনে করিয়ে দেন। লালুর দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘‘রাজা হওয়ার পরে আশপাশের দেওয়াল এত উঁচু করেছেন যে কিছুই দেখতে পাননি।’’ বিহারবাসীকে তিনি আশ্বস্ত করেন, ‘‘জিতে এলে বিহারে বিকাশ কি গঙ্গা বইয়ে দেবেন।’’ এ দিন শুধু মোদী নন, একই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও লালু পরিবারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। নীতীশ বলেন, ‘‘দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছেন লালুপ্রসাদ ও তাঁর পরিবার। তাঁদের দীর্ঘ রাজত্বে বিহারবাসী নরকযন্ত্রণা ভোগ করেছেন।’’ উল্লেখ্য, চার দশকের রাজনীতিতে এই প্রথম নির্বাচনের সময়ে অনুপস্থিত লালুপ্রসাদ। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দায়ে রাঁচীর জেলে বন্দি তিনি।