Lok Sabha Election 2019

জঙ্গি মারতেও কি নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন? বিতর্কিত মন্তব্য মোদীর

ফের সেনাকে হাতিয়ার করে বিতর্কে জড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কুশীনগর শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ১৪:১৭
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

ফের সেনাকে হাতিয়ার করে বিতর্কে জড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

Advertisement

গুলির লড়াইয়ে ফের উত্তপ্ত উপত্যকা।দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় ফের সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই জঙ্গির। উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরের একটি সভায় মোদী প্রচারে গিয়েছিলেন রবিবার। সেখানে তিনি বলেন, কিছু মানুষ এর পরেও বলবেন, কেন নির্বাচনের সময় জঙ্গি হত্যা করা হল?

পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানকেও নির্বাচনী প্রচারে তাঁর সরকারের সাফল্য বলে দাবি করছেন মোদী। এমনটাই অভিযোগ এনেছিলেন বিরোধীরা।

Advertisement

রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, সেনা ও জঙ্গিদমনকে প্রচারের কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছেন মোদী। এর পর কুশীনগরের সভায় মোদী রবিবার বলেন, ‘‘আমাদের সেনারা জঙ্গি অভিযানে সফল হয়েছে। হত্যা করেছে আতঙ্কবাদীদের। কিন্তু কিছু মানুষের এতেও সমস্যা হবে।’’

আরও পড়ুন: মেঘ থাকলে ধরতে পারবে না পাক রেডার, এগিয়ে যাও, বালাকোটে হামলার আগে বলেছিলেন মোদী​

মোদী এর পর বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন, এর পর লোকে বলবে সেনারা নির্বাচন কমিশনের থেকে গুলি চালানোর জন্যও অনুমতি নিক। বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘‘আতঙ্কবাদীরা যেখানে গুলি-বন্দুক নিয়ে প্রস্তুত, সেখানে অনেকেই হয়তো চাইবেন, এর পরেও ‘আমাদের’ সেনা গিয়ে কমিশনের কাছে অনুমতি নিয়ে আসুক, গুলি চালাতে তাঁরা পারবেন কি না?’’ মোদীর এই মন্তব্যের কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আরও পডু়ন: ভারতীকে ঘিরে বিক্ষোভ, কেশপুরে শূন্যে গুলি-লাঠিচার্জ কেন্দ্রীয় বাহিনীর, পরপর গাড়ি ভাঙচুর

রবিবার কাশ্মীরের হিন্দ সীতাপোরা অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় সেনাবাহিনীর উপর গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। গুলি বিনিময়ের সময়ই নিহত হন দুই জঙ্গি। তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ও শনাক্তকরণের কাজ চলছে, জানিয়েছেন পুলিশ মুখপাত্র মনোজ কুমার। প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন