—ফাইল চিত্র।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে নিয়ে প্রশ্ন বেমালুম এড়িয়ে গেলেন। কিন্তু দ্বিতীয় আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিঁধতে ছাড়লেন না রাহুল গাঁধীকে। দাবি করলেন, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা-রাজীব থেকে সনিয়া গাঁধী— কারও সম্পর্কেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি গত পাঁচ বছরে। পরিবারতন্ত্রের বিরোধী হিসেবে আদর্শগত ভাবে যা বলার বলেছেন।
টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীকে আজ প্রশ্ন করা হয়, ভোটে উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী কতটা প্রভাব ফেলবেন? কংগ্রেসের ভোটভাগ্য বা ভবিষ্যতে কী বদল আনতে পারবেন তিনি? মোদীর জবাব, ‘‘মনে হয় কোনও ব্যক্তিবিশেষ সম্পর্কে মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না।’’ এর পরেই রাহুলের ওয়েনাড থেকে লড়া নিয়ে প্রশ্নে মোদী বলেন, ‘‘দুই আসন থেকে লড়তে সংবিধানে বাধা নেই। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে পারিবারিক উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া কেন্দ্র অমেঠী ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেন, তা চর্চার বিষয় হওয়া উচিত।’’ গত ৪-৫ বছরে বহু বার তিনি গাঁধী পরিবারকে আক্রমণ করেছেন— এ কথা তুলতেই মোদীর দাবি, ‘‘একেবারেই নয়। কখনওই তা করিনি। আমি আদর্শগত ভাবে পরিবারতন্ত্রের বিরোধী। কখনও ব্যক্তি আক্রমণ করিনি। পারিবারিক শাসন ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর।’’
‘‘দুর্নীতি নিয়েও তো গাঁধীদের আক্রমণ করেছেন,’’ এ কথা তুলতেই আপন মেজাজে মোদী। বুঝিয়ে দেন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আঙুল তোলেননি। এর মোকাবিলায় পদক্ষেপ করে চলেছেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ভোপালে কী হচ্ছে দেখুন। ভ্রষ্টনাথ যা খুশি বলতে পারেন। আর্থিক কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করা উচিত নয়? ন্যাশনাল হেরাল্ড, লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে মামলা কী আমাদের সময়ে হয়েছে? এর পরেই মোদীর সংযোজন, ‘‘ওঁরা নিশ্চয়ই কিছু অন্যায় করেছেন, নইলে মা-ছেলেকে (সনিয়া-রাহুল) জামিনের জন্য ছুটতে হচ্ছে কেন?’’
পাঁচ বছর সরকারে থেকেও মোদী ২০১৯-এর ভোটে নেহরু জমানাকে দুষে চলছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মোদী বলেন, ‘‘লালকেল্লা থেকেই বলেছি, সংসদেও বলেছি—দেশ যেখানে পৌঁছেছে, তার পিছনে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির অতীতের সব সরকারের অবদান আছে। আমাদের ক্ষোভ, সর্দার পটেল প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি আলাদা হত। আলাদা হত গতিও।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নিজের দলে উপযুক্ত মর্যাদা না-পাওয়া প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী নিজের ব্লগে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আগে দেশ, তার পরে দল। নিজে সব শেষে।’’ এই কটাক্ষ কার প্রতি, সেই বিরোধীদের তোলা বিতর্ক এড়িয়ে মোদীর মন্তব্য, ‘‘এটাই তো আমাদের দলের মূল নীতি। আমাদের নীতি। সব বিজেপি কর্মীই সমান। আডবাণীজি ঠিকই বলেছে