দু’জনে: নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে তেজস্বী যাদব। বৃহস্পতিবার পটনায়। ছবি: পিটিআই
শেষ দফার নির্বাচনের আগে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিতর্কে বসার জন্য চ্যালেঞ্জ জানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। পাটলিপুত্র লোকসভা কেন্দ্রের বিক্রম এলাকায় মহাজোটের সভায় তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বসতে না চাইলে তেজস্বীর সঙ্গে বসুন।’’ তিনি এ দিন দাবি করেন, বিহারে মহাজোটই সিংহভাগ আসনে জিতবে।
বিহার রাজনীতিতে লালুপ্রসাদের প্রাসঙ্গিকতার কথা টেনে তিনি বলেন, ‘‘সারা জীবন লালুজি কাজ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছেন।’’ পাটলিপুত্র লোকসভায় মহাজোটের প্রার্থী মিসা ভারতী জিতছেন বলেই রাহুলের দাবি।
শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও আক্রমণ করেন রাহুল। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, ‘‘নীতীশ সরকারের প্রতিটি দফতরে যে কোনও কাজের জন্য ঘুষ দিতে হয়। নতুন সরকার এলে ব্যবসা শুরু করতে কোথাও কোনও ঘুষ দিতে হবে না।’’ তাঁর অভিযোগ, নীতীশ বিহারকে গরিবি ‘হাব’ বানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘোষিত ‘ন্যায় প্রকল্প’-এ বিহারবাসী সব থেকে বেশি লাভবান হবেন। কৃষি ঋণ নিয়ে নীতীশকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়-সহ বিভিন্ন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে কৃষি ঋণ মাফ করা হয়েছে। কিন্তু নীতীশ সরকার কৃষকদের সেই সুবিধা দেননি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পাশাপাশি বিকেল পাঁচটায় পটনা সাহিবের কংগ্রেস প্রার্থী শত্রঘ্ন সিনহার সমর্থনে রোড শো করেন তিনি। রাজেন্দ্রনগরের মৌলানা মইনুল হক স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে দিনকর চক এবং নালা রোড হয়ে পৌঁছয় কদমকুঁয়ায়। রাহুলের রোড শোয়ে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মহাজোটের বিভিন্ন দলের নেতারা পতাকা নিয়ে রোড শোয়ে শামিল হন। সর্বত্রই রাহুলকে দেখার জন্য বাড়ির ছাদ থেকে রাস্তা, সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করেছেন। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মদন মোহন ঝা।