মোদী-বিরোধী সরকার গড়ার চেষ্টায় বিরোধী দলের নেতাদের একজোট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তেলুগু দেশম নেতা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। সেই প্রয়াসকে কটাক্ষ করে বিজেপি শরিক শিবসেনা বলল, ‘‘কারণ ছাড়াই চন্দ্রবাবু নিজেকে ক্লান্ত করছেন কেন, জানি না। মনে হচ্ছে, তাঁর এই উত্তেজনা ২৩ তারিখ পর্যন্তই থাকবে। তাঁর জন্য আমাদের শুভেচ্ছা রইল!’’
শিবসেনার মুখপাত্র সামনা-য় লেখা হয়েছে, ‘‘বিরোধী জোটে প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবিদার অন্তত পাঁচ জন। তবে তাঁদের মোহভঙ্গের সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, কে সরকার গড়বে, তার জবাব অমিত শাহ ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন। পঞ্চম পর্বেই বিজেপি ৩০০ আসনের টার্গেটে পৌঁছে গিয়েছে বলে শাহ জানিয়েছেন।’’ শিবসেনার দাবি, দেশের মানুষ অনেক ছোট দলের জোট সরকার চাইছেন না।
এ সঙ্গেই সামনা-য় তেলুগু দেশম নেতাকে কটাক্ষ, জগন্মোহন রেড্ডির মুখোমুখি হয়ে নিজের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগোতে হচ্ছে চন্দ্রবাবুকে। বিরোধী জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়ার পাশাপাশি শিবসেনা জানিয়ে দিয়েছে, ২৩ মের পরে পরিস্থিতি যা-ই হোক, বিজেপির সঙ্গেই থাকবে তারা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দলের নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, দিল্লিতে বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গড়বে এনডিএ। এই ধরনের সমীক্ষা অনেক সময়ে ভুল হয় ঠিকই। তবে বিজেপি যদি ২০০ আসনও পায়, শিবসেনা তাদের ছেড়ে চলে যাবে না। কারণ, মন থেকে আমরা বিজেপির সঙ্গেই রয়েছি।’’
পাঁচ বছর ধরে মোদী সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁচা দিয়ে গেলেও সরকারের শরিক হিসেবে শেষ পর্যন্ত থেকে গিয়েছে শিবসেনা। এ বার মহারাষ্ট্রের ভোটেও তারা একসঙ্গেই লড়েছে। তবে বুথফেরত সমীক্ষায় মোদীর জয়ের সম্ভাবনা দেখেই বিজেপির সঙ্গে তাদের মনের যোগের কথা তুলে ধরল শিবসেনা।