National news

ভোটের বৈতরণী পার হতে মরিয়া ‘সন অব মাল্লাহ’  

পশ্চিম বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের ‘উত্তর-পূর্বে’ নিষাদ সম্প্রদায়ের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। মূলত নদী-কেন্দ্রীক জীবিকা নিষাদদের। গোরখপুরের উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে নিষাদ পার্টির সাফল্য মানুষের প্রথম নজরে পড়ে।

Advertisement

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৯
Share:

মুকেশ সহানি

‘বজরঙ্গি ভাইজান’ থেকে সরাসরি বিহারের নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছেন ‘সন অব মাল্লাহ’ মুকেশ সহানি। বিহারের বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। মাত্র এক বছর আগে দল তৈরি করে নির্বাচনের আসরে নেমে মহাজোটের অন্যতম শরিক ৩৬ বছরের মুকেশ। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির স্টার প্রচারক মুকেশ এখন মহাজোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক।

Advertisement

পশ্চিম বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের ‘উত্তর-পূর্বে’ নিষাদ সম্প্রদায়ের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। মূলত নদী-কেন্দ্রীক জীবিকা নিষাদদের। গোরখপুরের উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে নিষাদ পার্টির সাফল্য মানুষের প্রথম নজরে পড়ে। পরে উত্তরপ্রদেশের নিষাদ পার্টিকে বিজেপি ‘টেক ওভার’ করেছে। তা থেকেই বোঝা যায়, এই সম্প্রদায়ের গুরুত্ব কতটা। বিহারে কম করে ২০টি আসনে এই সম্প্রদায়ের ভোট প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বিহারে নিষাদ সম্প্রদায়ের মানুষেরা ২০টি উপ-জাতিতে বিভক্ত। রাজ্যের অতি পিছড়ে বর্গের ভোটের প্রায় ৩০% নিষাদ সম্প্রদায়ের। আর সে কথা মাথায় রেখেই মহাজোট মুকেশ সহানির দলকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আসন ছেড়েছে।

১৮ বছর বয়সে দ্বারভাঙার বাড়ি থেকে পালিয়ে মুকেশ মুম্বইয়ে যান কাজের খোঁজে। ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে প্রোডাকশন এবং আর্ট ডিরেক্টরদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ থেকে ‘সেট’ তৈরির ব্যবসা শুরু করেন। দ্রুত উঠে আসেন সামনে। সলমন খানের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ থেকে অম্বানী পরিবারের অনুষ্ঠান, সবেতেই তিনি ‘সেট’ তৈরির কারিগর। এর পরেই রাজনৈতিক ইচ্ছে পূরণে সোজা বিহারে। নিষাদ বিকাশ সঙ্ঘের নাম দিয়ে রাজ্যে নিষাদদের তফসিল জনজাতিতে শামিল করার দাবি নিয়ে কাজ শুরু করে পরে গড়েন ‘ভিআইপি’।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সংবাদপত্র বিজ্ঞাপনে এবং পোস্টারে মুকেশের ছবি বড় করেই ছাপা হয়েছিল। পটনার ফ্রেজার রোডের দলীয় অফিসে বসে সে কথা হাসিমুখে স্বীকারও করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘আমার কথাতেই রাজ্যের ৭ শতাংশ নিষাদ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল।’’ তিনি জানিয়েছেন, নিষাদদের ২৩টি উপ সম্প্রদায়, ৫৫টি পদবি রয়েছে। বিহারের ৮৬০০ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ১১ শতাংশ বাসিন্দা নিষাদ সম্প্রদায়ের। মুকেশের দাবি, প্রায় এক কোটি ৭৫ লক্ষ নিষাদ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপরে তাঁর প্রভাব রয়েছে। এই প্রথম নির্বাচনে লড়ছেন মুকেশ। প্রার্থী হয়েছেন বিহারের খগড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে। বিপক্ষে লোক জনশক্তি পার্টির প্রার্থী তথা সাংসদ মেহবুব আলি কওসর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement