আপের সঙ্গে জোট চান সনিয়া-রাহুল

শুরু থেকেই দিল্লিতে জোটের পক্ষে আপ শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০২:০৭
Share:

মঞ্চে: দেহরাদূনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। শনিবার। ছবি: পিটিআই।

আসন্ন লোকসভায় আম আদমি পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিল্লিতে প্রশ্নে কার্যত আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব। শীলা দীক্ষিত, অজয় মাকেনের মতো দিল্লির নেতারা যখন ওই জোটের বিপক্ষে, তখন গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ পটলের মতো সনিয়া গাঁধী ঘনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় নেতারা জোটের পক্ষে ইতিবাচক বার্তা দিতে শুরু করেছেন। তবে আজ দল জানিয়েছে, অরবিন্দ কেজরীবালের দলের সঙ্গে দিল্লি ও হরিয়ানায় জোট হবে কিনা সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল গাঁধীই।

Advertisement

শুরু থেকেই দিল্লিতে জোটের পক্ষে আপ শিবির। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রথমে তাতে রাজি না-হওয়ায় জোট ভেস্তে যায়। কংগ্রেসের অবস্থানে ক্ষুব্ধ আপ শিবির দিল্লির কেন্দ্রগুলিতে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়। দু’দিন আগে জোটের প্রশ্নে প্রথম বরফ গলার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। জানা যায়, আপের সঙ্গে জোট হবে কি না তা নিয়ে দিল্লির কর্মীদের মধ্যে জনমত সংগ্রহ শুরু করেছে কংগ্রেস।

জনমতের কারণ হিসাবে আজ কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লিতে ভোটারদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল দল। তাতে দেখা গিয়েছে যথাক্রমে ২৮ ও ২২ শতাংশ মানুষ আপ-কংগ্রেস জোটের পক্ষে রয়েছেন। সেখানে বিজেপিকে পছন্দ প্রায় ৩৫ শতাংশ দিল্লিবাসীর। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে হারাতে গেলে একমাত্র বিকল্প যে জোট, তা বুঝতে পারছেন কংগ্রেস নেতারা। তাই দলের পক্ষ থেকে জোটের প্রশ্নে আলোচনা শুরু করতে সক্রিয় হয়েছেন গুলাম নবিরা। একটি কমিটিও গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল, যারা আপের সঙ্গে আসন রফার বিষয়টি দেখবে। তবে ওই কমিটি শেষ পর্যন্ত আলোচনা শুরু করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত উত্তরাখণ্ডের প্রচার সেরে ফেরার পরে রাহুল গাঁধী নেবেন বলে জানিয়েছে দল।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন