ছবি: এএফপি।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ভোটগ্রহণ ১১ এপ্রিল। সুপ্রিম কোর্ট আজ ভিভিপ্যাট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যের জবাব দেওয়ার জন্য ২১টি বিরোধী দলকে ৮ এপ্রিল সময় দিল।
চন্দ্রবাবু নায়ডু-সহ ২১ জন বিরোধী দলের নেতা সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিলেন, ইভিএম নিয়ে সন্দেহ দূর করতে অন্তত ৫০% কেন্দ্রে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট-এর ফল তুলনা করে দেখুক কমিশন। কিন্তু কমিশন জানিয়েছিল, তা হলে গণনা শেষ করতে অন্তত ছ’দিন সময় লাগবে। আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বেঞ্চ কমিশনের এই যুক্তির জবাব দেওয়ার জন্য বিরোধীদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানি ৮ এপ্রিল। কিন্তু তার তিন দিনের মধ্যে ভোট শুরু হয়ে যাওয়ায় কোর্ট থেকে আর সুরাহা মিলবে কি না, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি একতরফা জেতার পরে ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগে সরব হন বিরোধী নেতানেত্রীরা। কমিশনের দাবি, ইভিএম-এ কারচুপি অসম্ভব। তার পরেও সন্দেহ দূর করতে প্রতিটি বুথে ‘ভোটার ভেরিয়বেল পেপার অডিট ট্রেল’ (ভিভিপ্যাট) যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করছে কমিশন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কমিশনের বক্তব্য, ভোটার কাকে ভোট দিচ্ছেন তা ৭ সেকেন্ডের জন্য ইভিএমের সঙ্গে লাগানো ভিভিপ্যাটে ফুটে ওঠে। দেখে নিজের ভোট কোথায় পড়েছে, নিশ্চিত হতে পারেন ভোটার। বিধানসভা ভোটে প্রতিটি আসনের একটি ভোটকেন্দ্র ও লোকসভার ক্ষেত্রে সেই কেন্দ্রের প্রতিটি বিধানসভায় একটি করে বুথের ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের ফল তুলনা করে কমিশন। এই ব্যবস্থায় কমিশনের ৯৯.৯৯৩৬% আস্থা রয়েছে। ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের তুলনার হার বাড়ালে আস্থার হার সামান্য বাড়বে। কমিশনের যুক্তি— এই তুলনার কোনও নির্দিষ্ট হার বেঁধে দেওয়ার পিছনে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি নেই।