ভিভিপ্যাট আর্জি খারিজ ১ মিনিটেই

ভোটযন্ত্রে যে প্রার্থীর নামের পাশে বোতাম টেপা হচ্ছে, সেখানেই ভোট পড়ছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ২১টি বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টের দাবি তুলেছিল, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে যেন ‘ভোটার ভেরিফায়েব্‌ল পেপার অডিট ট্রেল’ (ভিভিপ্যাট) গণনা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ০৩:১০
Share:

প্রধান বিচারপতির এজলাসে দর্শক গ্যালারিতে আজ হঠাৎই চাঁদের হাট। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, জম্মু-কাশ্মীর থেকে দিল্লিতে এসে হাজির ফারুখ আবদুল্লা, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহ, সিপিএমের নীলোৎপল বসু, সিপিআইয়ের ডি রাজা। তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় আইনজীবী হিসেবে কালো গাউন চাপিয়ে একেবারে বেঞ্চের সামনেই হাজির।

Advertisement

কিন্তু যে কারণে এত ভিড়, সেই মামলার শুনানি এক মিনিটেই শেষ।

ভোটযন্ত্রে যে প্রার্থীর নামের পাশে বোতাম টেপা হচ্ছে, সেখানেই ভোট পড়ছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ২১টি বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টের দাবি তুলেছিল, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে যেন ‘ভোটার ভেরিফায়েব্‌ল পেপার অডিট ট্রেল’ (ভিভিপ্যাট) গণনা হয়। ওই ভিভিপ্যাট দেখেই বোঝা যায়, ভোট ঠিক জায়গায় পড়েছে কি না। এখন প্রতিটি বিধানসভা এলাকার একটি বুথে ভিভিপ্যাট খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, একটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভার পাঁচটি বুথে ভিভিপ্যাট গণনা করতে হবে।

Advertisement

ওই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আজ ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ২১টি বিরোধী দল। তাদের হয়ে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি যুক্তি দেন, ‘‘আমরা ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা করে ভোটের ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার দাবি তুলেছি। কিন্তু ৩৩ শতাংশ বা ২৫ শতাংশ হলেই আমরা মেনে নেব।’’ কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের স্পষ্ট কথা, ‘‘আগের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে ইচ্ছুক নই।’’

প্রধান বিচারপতির ওই মন্তব্যের পরেও অবশ্য হাল ছাড়েননি বিরোধীরা। তাঁরা এর পরে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন। চন্দ্রবাবু মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখে দাবি তোলেন, প্রতিটি বিধানসভা এলাকার ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট গণনা করতে হবে। প্রতিটি বিধানসভার পাঁচটি করে বুথের ভিভিপ্যাট গণনার অর্থ মাত্র ২ শতাংশ গণনা। এর পরে চন্দ্রবাবুর নেতৃত্বে কংগ্রেস, বাম, ডিএমকে-সহ বিভিন্ন দলের নেতারা বিকেলে কমিশনে দরবার করেন।

চন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘নির্বাচনে স্বচ্ছতা চাইছি। ভিভিপ্যাটে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। কেন আরও স্বচ্ছতার জন্য সেগুলি গণনা করা হবে না? ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের গণনার মধ্যে বহু ক্ষেত্রে ফারাক দেখা যাচ্ছে।’’ ফারুখের যুক্তি, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সম্মান করছি। কিন্তু মানুষের কাছেও এই বিষয়টি নিয়ে যাওয়া জরুরি। কারণ, মানুষই সুপ্রিম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement