দল নেই, ঘরও নেই, তবে প্রার্থী আছেন 

ফের নতুন মুখ। আবার কিছুদিনের জন্য ছোটাছুটি।

Advertisement

উত্তম সাহা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪১
Share:

—ফাইল চিত্র।

বরাক উপত্যকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সংগঠন নেই। নেই কোনও কমিটি, অফিস ঘর। তবু ভোট এলে ঠিক প্রার্থী জুটে যান। প্রার্থী পদের জন্য লড়াইও বাধে। ভোট শেষ, দলও শেষ। ফের নতুন মুখ। আবার কিছুদিনের জন্য ছোটাছুটি।

Advertisement

এ বারও সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি। চার বছরে বরাক উপত্যকায় কেউ কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুল দেখেননি। এনআরসি ইস্যুতে গত বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ সাংসদকে শিলচরে পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন শান্তিকুমার সিংহ, হিতব্রত রায়, পরিমল রায়-রা। রাজ্য সরকার সাংসদদের বিমানবন্দরেই আটকে দেয়। তাঁরাও ফিরে যান। পরে শান্তিবাবু যোগাযোগ করেন কলকাতায়। গড়েন কাছাড় জেলা কমিটি। মাস কয়েক আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থীও দাঁড় করানো হয়। এক শতাংশ ভোটও মেলেনি।

তাতেও লড়াই জমেছে। শান্তিকুমার সিংহ, হিতব্রত রায়ের সঙ্গে টিকিটের জন্য আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেসী মন্ত্রী মিসবাহুল ইসলাম লস্করও। দল লোকসভা নির্বাচনে হিতব্রত রায়কে দাঁড় করিয়েছে। লস্কর নীরবে সরে দাঁড়িয়েছেন। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তিবাবু ক্ষোভের সুরে বলেন, হিতব্রতবাবুকে নিয়ে কতটা সাফল্য মিলবে, বলা মুশকিল। তাঁর আক্ষেপ, কয়েকদিন আগে কাগজে টিকিট বণ্টনের কথা জানতে পেরেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বা রাজ্য কমিটি জেলা নেতাদের এ ব্যাপারে এখনও কিছুই জানাননি। তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি মিসবাউদ্দিন লস্কর বললেন, আমরা কাজ করলে কী হবে, সত্তরোর্ধ্ব হিতব্রতবাবুর জামানত টেকানোই মুশকিল হবে। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগেও শিলচরে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ডেকেছিলেন রবীন্দ্র সিংহ। লোকজন ভালই জমিয়েছিলেন। পরে টিকিট পেয়েছিলেন ওয়াজেদ রেজা ওসমানি। ভোটের আগেই দলের সঙ্গে সংশ্রব ত্যাগ করেন রবীন্দ্র। জামানত খুইয়ে সম্পর্ক ছাড়েন ওসমানিও। তবে কি ২০১৪-র মতোই ভোটের আগে দল ছাড়ার কথা ভাবছেন শান্তিকুমার, মিসবাউদ্দিনরা? এখনও এমনটা ভাবছেন না বলেই জানালেন তাঁরা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement