মোদী প্রশ্নে চুপ কেন কমিশন?

গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের লাতুরে একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রথম বার ভোট দিতে যাওয়া ভোটারদের পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা করা সেনাদের কথা ভেবে ভোট দিতে বলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারের পরে কুকথা বলা ও নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কারণে নেতানেত্রীদের শাস্তি দিয়েছে কমিশন। আর তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, বাদ কেন প্রধানমন্ত্রী? তাঁর বিরুদ্ধে পুলওয়ামা-বালাকোটের উদাহরণ দেখিয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগ তো উঠেছে আট দিন আগে। কমিশন অবশ্য আজ ফের জানিয়েছে, বিষয়টি বিশেষ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট এলেই প্রধানমন্ত্রীকে নোটিস পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Advertisement

গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের লাতুরে একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রথম বার ভোট দিতে যাওয়া ভোটারদের পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা করা সেনাদের কথা ভেবে ভোট দিতে বলেন। পুলওয়ামায় নিহত আধাসেনাদের স্মৃতিতেও ভোট উৎসর্গ করার ডাক দেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি কোনও দলের নাম নেননি ঠিকই, কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, মোদী বিজেপির হয়েই ভোট চাইতে গিয়েছিলেন।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। রিপোর্ট দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আসার পরেই তা সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেড়ার কথায়, ‘‘ওই মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভবিষ্যতে কী রয়েছে, তা নিয়ে দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখেছে কমিশন। তাদের উচিত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি সংবেদনশীল। তা ছাড়া, খোদ প্রধানমন্ত্রী জড়িত রয়েছেন। তাই সব দিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, আপাতত দু’টি বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী বালাকোটের প্রসঙ্গ তুলে আদৌ নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন কি না। দ্বিতীয়ত, তাঁর মন্তব্যকে একটি দল বা এক জন নেতার হয়ে প্রচার বলা যায় কি না। এ নিয়ে কমিটির সদস্যদের মতবিরোধ থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

কমিশনের একটি সূত্রের মতে, যদি দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী বিধিভঙ্গ করেছেন, তা হলে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হবে। যদিও কমিশন শেষ পর্যন্ত তেমন ‘সাহসী’ পদক্ষেপ করতে পারবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান কংগ্রেস।

মোদীর মন্তব্য ঘিরে এখনও কোনও পদক্ষেপ না করলেও, ‘নমো টিভি’র সম্প্রসারণে বাঁধন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে কমিশন। বাকি ছ’দফা ভোটের আগে যাতে ওই চ্যানেলে নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত কোনও অনুষ্ঠান না চলে তা নিশ্চিত করতে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই চ্যানেলে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান চলেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন