লোকসভায় পাশ হয়ে গেল তিন তালাক বিল

লোকসভায় পাশ হয়ে গেল তিন তালাক বিল। ধ্বনি ভোটে বিলটি পাশ হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:০৭
Share:

লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ তিন তালাক বিল, স্বস্তির হাসি আইন মন্ত্রীর মুখে। ছবি: পিটিআই।

তিন তালাক বিল পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। তাৎক্ষণিক তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিতে তিন তালাক বিল আজই পেশ হয়েছিল লোকসভায়। নাতিদীর্ঘ আলোচনার পরেই তা ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বিলটি একেবারে বিনা বাধায় পাশ হয়েছে, তা নয়। বিল পেশ হতেই এআইএমআইএম, এআইএডিএমকে, বিজেডি-র মতো কয়েকটি দল এই বিলের বিরোধিতা করে। কংগ্রেসের তরফেও কিছু সংশোধনের দাবি তোলা হয়। কিন্তু তিন তালাক বিলকে কংগ্রেস সমর্থন করবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।

শেষ পর্যন্ত ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে বিলটি। তিন তালাক যে ফৌজদারি অপরাধ, তা মেনে নিয়েছে লোকসভা। এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদুদ্দিন ওয়েইসি সংশোধনী পেশ করেছিলেন। তা ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে গিয়েছে আরও বেশ কিছু সংশোধনী।

Advertisement

আরও পড়ুন: আমি র-এর চর, শেখানো বুলির মতো আউড়ে যাচ্ছিলেন কুলভূষণ

রাজ্যসভাতে এ বার পাশ করাতে হবে বিলটি। লোকসভায় বিজেপি তথা এনডিএ-র যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, রাজ্যসভায় তা নেই। কিন্তু সেখানেও বিল পাশ করাতে সমস্যা হবে না বলেই রাজনৈতিক শিবির মনে করছে। কারণ কংগ্রেসও তিন তালাক বিলকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে।

এ দিন লোকসভায় বিলটি উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “আজ দেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। নারী শক্তি, নারী সম্মান এবং নারীদের অধিকার রক্ষার্থে এ এক তাত্পর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।”

আরও পড়ুন: পেশ তিন তালাক বিল, কিছু সংশোধন চায় কংগ্রেস​

লোকসভায় পেশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিন তালাক বিল পাশ হয়ে যাওয়ায়, সরকার পক্ষের হাসি স্বাভাবিক ভাবেই চওড়া হয়েছে এ দিন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে এবং সরকারকে অবিনন্দন জানিয়েছেন।

এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন

‘মুসলিম মহিলা (বৈবাহিক অধিকার সুরক্ষা) বিল ২০১৭’ নামে এই বিলে তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মৌখিক ভাবে, লিখিত ভাবে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বা অন্য কোনও উপায়ে ‘তালাক’ শব্দটি ব্যবহার করে কেউ যদি স্ত্রীয়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান, তা হলে সে বিচ্ছেদ বৈধ হিসেবে ধরা হবে না এবং এই কাজকে বেআইনি হিসেবে গণ্য করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা শুরু করা হবে। বিলে এমনই বলা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত সাজা এবং জরিমানার সংস্থান রাখা হয়েছে বিলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement