Om Birla

সন্ত্রাসের বিরোধিতাই রাষ্ট্রনীতি, বার্তা স্পিকারের

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বার্তা দিয়ে একইসঙ্গে অনেকগুলি লক্ষ্য পূরণ করতে চাইছে ভারত। ভূকৌশলগত ভাবে এটা স্পর্শকাতর সময়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৪
Share:

লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা। —ফাইল চিত্র।

জি২০ দেশগুলির স্পিকারদের নিয়ে রাজধানীর যশোভূমি কনভেনশন সেন্টারে হয়ে গেল তিন দিনের পি২০ সম্মেলন। সূত্রের খবর, এই সম্মেলনে ছায়া ফেলেছে চলতি ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ এবং তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অবস্থান। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন কিছু রাষ্ট্রের স্পিকারের সঙ্গে। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সম্মেলনে এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় নীতিই সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করা।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিড়লা বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমাদের নীতি হল, যে কোনও দেশে, যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ চরম নিন্দনীয়— ভারত বার বার এ কথা বলে আসছে। আমরা কখনও শান্তি এবং সমৃদ্ধিকে রুদ্ধ করতে সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত করব না।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ভারতের মাটিকে কখনও কোনও দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহৃত হতে দেওয়া হবে না— এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার।

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বার্তা দিয়ে একইসঙ্গে অনেকগুলি লক্ষ্য পূরণ করতে চাইছে ভারত। ভূকৌশলগত ভাবে এটা স্পর্শকাতর সময়। ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনের যুদ্ধের মধ্যে ভারতের নীতি যে সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা করা এটা বুঝিয়ে দিতে চাওয়া হচ্ছে। তুরস্কের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে
বলেছিলেন বিড়লা। সূত্রের খবর, তুরস্কের বক্তব্য, ২০১৬ সালে সে দেশে সামরিক অভ্যুত্থানে মদত দেওয়া কিছু ব্যক্তি ভারতে লুকিয়ে রয়েছে। এই অভিযোগের মুখে নয়াদিল্লির এ কথা স্পষ্ট করে দিতে চাইছে যে ভারত নিজে সন্ত্রাসবাদের শিকার। সন্ত্রাসবাদের কারণ নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন