অবাক ফরমান
• বাতিল নোটে (পুরনো পাঁচশো ও হাজার) এক লপ্তে ৫,০০০ টাকার বেশি একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হলে, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তা করা যাবে এক বারই।
• সে ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন অন্তত দু’জন কর্মী। জানতে চাইবেন, টাকা এত দিন জমা দেননি কেন?
• সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিয়ে তবেই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে।
• বারবার অল্প করে জমা দিতে থাকলেও সেই টাকা যোগ হবে। মোট ৫,০০০ ছাড়ালে একই ভাবে পড়তে হবে প্রশ্নের মুখে। তারপরে আর জমা দেওয়া যাবেও না।
• অ্যাকাউন্টে কেওয়াইসি নথি দেওয়া থাকলে, তবেই ৫০ হাজারের বেশি জমা করা যাবে। নইলে নয়।
• স্বেচ্ছায় আয় ঘোষণা প্রকল্পে (প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা) টাকা জমায় এই সমস্ত শর্ত পূরণ জরুরি নয়।
ডিগবাজি
অরুণ জেটলি, অর্থমন্ত্রী
১২ নভেম্বর
আপনাদের হাতে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে।
১৯ ডিসেম্বর
বাতিল নোটে এক লপ্তে পাঁচ হাজারের বেশি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়া যাবে আর এক বারই।
উত্তর নেই
• ৩০ ডিসেম্বরের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে একাধিক বার ৫,০০০ টাকার বেশি জমা করা যাবে কি?
• ব্যাঙ্কে লাইন কমলে যাঁরা শেষের দিকে টাকা জমার কথা ভেবেছিলেন, তাঁদের দোষ কোথায়?
• তবে কি ধরে নিতে হবে যে, কেন্দ্রের সমস্ত ঘোষণাই পাল্টে যেতে পারে?
• ফরমান জারির কারণ হিসেবে স্বেচ্ছা আয় ঘোষণায় উৎসাহ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কর মেটানো টাকা যাঁর বাড়িতে, তিনি আগ্রহী হবেন কেন?
• বাতিল নোটের প্রায় সব টাকা ব্যাঙ্কে ফিরছে বলেই কি এই সিদ্ধান্ত? প্রথমে কেন্দ্রের ধারণা ছিল, অন্তত ৩-৪ লক্ষ কোটির কালো টাকা ফিরবেই না।
হচ্ছেটা কী!
‘তাড়াহুড়ো কীসের!’ ছিল সরকারি বিজ্ঞাপনেই।
মনমোহন সিংহ
২৪ নভেম্বর
যে ভাবে প্রতিদিন টাকা তোলার নিয়ম বদলাচ্ছে, তা কাজের কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দফতর এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষে খুব ভাল বিজ্ঞাপন নয়। শীর্ষ ব্যাঙ্কের যে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে, তা যুক্তিযুক্ত।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
অমর্ত্য সেন
৩০ নভেম্বর
নোটে লেখা থাকে, তা নিয়ে গেলে সমপরিমাণ টাকা দিতে ব্যাঙ্ক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই কথা ভাঙা কার্যত স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত।... নোট, ব্যাঙ্ক, অর্থনীতির প্রতি মানুষের বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯ ডিসেম্বর
ভারতবর্ষে একটা সরকার আছে। বোবা-কালার সরকার।
না শুনছে, না দেখছে। গায়ের জোরে চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী