যাঁকে ঘিরে ‘লাভ জেহাদ’ বিতর্কে তোলপাড় গোটা কেরল, সেই হাদিয়া (২৫) ‘মানসিক ভাবে স্বাধীন নন’ বলে দাবি করলেন তাঁর বাবার আইনজীবী।
জোর করে তাঁর মেয়ে অখিলা অশোকনকে (বর্তমান নাম হাদিয়া) ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেছেন শফিন জাহান, এই অভিযোগে হাইকোর্টে যান হাদিয়ার বাবা কে এম অশোকন। হাইকোর্ট সেই বিয়ে নাকচ করে দেয়। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান শফিন। কাল সেই মামলার শুনানি। আদালতে হাজিরার জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাদিয়াকে। শনিবার কোচি বিমানবন্দরে হাদিয়া জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছেন। ফের স্বামীর কাছেই ফিরতে চান।
হাদিয়ার বাবার দাবি, ইসলামিক স্টেটের (আইএসে) সঙ্গে যুক্ত করার জন্যই হাদিয়াকে বিয়ে করেন শফিন। তাঁর মেয়েকে সিরিয়ায় নিয়ে গিয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি বানানোর চেষ্টা হচ্ছে, এমন অভিযোগও তোলেন। এ দিন ফের বিতর্ক উস্কে দিয়ে হাদিয়ার বাবার আইনজীবী এ রঘুনাথ জানান, হাদিয়ার মগজ ধোলাই হয়েছে। ফলে তিনি যা বলছেন, তার উপরে ভরসা করা যায় না। তাঁর দাবি, যদি হাইকোর্ট ওই রায় না দিত, তা হলে এত দিনে সিরিয়া বা আফগানিস্তান থেকে খুঁজে পাওয়া যেত হাদিয়াকে।
বিবাহ সংক্রান্ত একটি ইসলামিক ওয়েবসাইটে শফিনের সঙ্গে আলাপ হয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হাদিয়ার। কলেজে পড়াকালীন বিয়ে করেন হাদিয়া। হাইকোর্টের নির্দেশে বাবার বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। শফিনও পুলিশের কাছে পাল্টা অভিযোগ জানান, ফের হাদিয়াকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে তাঁর পরিবার।