National News

‘রহস্যময় মৃত্যু জয়ার’, দেহ তুলে আনা হতে পারে, ইঙ্গিত মাদ্রাজ হাইকোর্টের

জয়ললিতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে এ বার সংশয় প্রকাশ করল খোদ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সমাধি থেকে দেহ তুলে এনে মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে, এ ইঙ্গিতও দিয়ে দিল আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:০১
Share:

জয়ললিতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে এ বার সংশয় প্রকাশ করল খোদ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সমাধি থেকে দেহ তুলে এনে মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে, এ ইঙ্গিতও দিয়ে দিল আদালত। ‘‘জয়ললিতার মৃত্যুর বিষয়ে গণমাধ্যম অনেক সংশয় প্রকাশ করেছে, ব্যক্তিগত ভাবে আমারও অনেক সন্দেহ রয়েছে’’, মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এস বৈদ্যনাথনের। তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকে বিচারপতি এ দিন ‘রহস্যময়’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।

Advertisement

জয়ললিতার মৃত্যুর কারণ এবং হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিশদে জানতে চেয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন পিএ যোসেফ নামে এক এআইডিএমকে কর্মী। বৃহস্পতিবার সেই পিটিশনের শুনানিতে বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন বলেন, ‘‘গোটা ঘটনা ঘিরেই রহস্য রয়েছে। দেখা গিয়েছিল জয়ললিতা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। তিনি আইসিইউতে খাবার খেতে শুরু করেছিলেন। বেশ কিছু কাগজপত্রে সইও করেছিলেন। এমনকী দলীয় নেতাদের সঙ্গে নাকি বৈঠকও করেছিলেন। তার পর আচমকা তিনি মারা গেলেন।’’

আরও পড়ুন: আম্মার জায়গায় চিন্নাম্মাই, দলীয় আইন ভেঙে দিয়ে সিদ্ধান্ত এআইএডিএমকের

Advertisement

আদালতের প্রশ্ন, জয়ললিতার মৃত্যুর এত দিন পরেও কেন তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ল না? ঠিক কী কারণে জয়ললিতার মৃত্যু হয়েছিল সেই কারণটা এ বার অন্তত স্পষ্ট হওয়া উচিত বলে বিচারপতি বৈদ্যনাথন এ দিন মন্তব্য করেছেন।

রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য অ্যাডভোকেট জেনারেল মুথুকুমারস্বামী দাবি করেছেন, জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে কোথাও কোনও রহস্য, সংশয়ের অবকাশই নেই। যদিও মুথুকুমারস্বামীর কথায় গুরুত্ব দেননি বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘আমার নিজের মত, সংশয় থাকলে মৃতের দেহ তুলে এনে পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারি।’’ তবে এআইডিএমকে দলের মুখপাত্র সিআর সরস্বতীর দাবি, ‘আমরা ৭৫ দিন ধরে মিথ্যে কথা বলতে যাব কেন! হার্ট অ্যাটাক কী আগে থেকে জানিয়ে আসে?’’

পিএ যোসেফের পিটিশনে ২২ সেপ্টেম্বর জয়ললিতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে পরপর ঘটনাবলীর উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, নেত্রীর মৃত্যুর আগে তাঁকে ঘিরে ‘চরম গোপনীয়তার আবরণ’ তৈরি হওয়ায় সংশয় ছড়িয়েছে। যে সব প্রশ্ন উঠছে, সেগুলি খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিও জানিয়েছেন যোসেফ। এই পিটিশনের পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন